পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ; পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে গমন বা সাময়িক আবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা
পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ; পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে গমন বা সাময়িক আবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা
- বিদেশের কোথাও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অস্থিরতার মতো কোন বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে জীবন, দৈহিক নিরাপত্তা ও জনগণের সম্পদ সুরক্ষার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট রাষ্ট্র বা এলাকায় পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে গমন বা সাময়িক আবাস স্থগিত করার প্রয়োজন বলে মনে হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে গমন বা সাময়িক আবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি বা পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন (পাসপোর্ট আইনের ধারা 17 (1)-এর মূল পাঠ; পাসপোর্ট আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 28)
পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ সম্পর্কিত নোটিশ
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ, ইত্যাদি আরোপ করতে চাইলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং যেসব দেশ বা অঞ্চল, সুযোগ, পরিবেশ ও মেয়াদে পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত এবং পাসপোর্ট ব্যবহার, পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে গমন ও সাময়িক আবাস, ইত্যাদির অনুমতি চেয়ে আবেদন করার পদ্ধতি উল্লেখ করে একটি নোটিশ জারি করবেন। (পাসপোর্ট আইনের ধারা 17 (2); পাসপোর্ট আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 30)
- বিদেশের কোন স্থানে বিপজ্জনক পরিস্থিতির অবসান ঘটায় যখন পাসপোর্ট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ, ইত্যাদি অব্যাহত রাখা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে, তখন পরাষ্ট্রমন্ত্রী অবিলম্বে পাসপোর্ট, ইত্যাদি ব্যবহারের ওপর থেকে ওই ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেবেন এবং এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন (পাসপোর্ট আইনের ধারা 17 (3))
পাসপোর্টের ব্যতিক্রমী ব্যবহার, ইত্যাদির জন্য অনুমতি
অনুমতির কারণ
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিম্নলিখিত কারণে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট ব্যবহার এবং পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে গমন বা সাময়িক আবাসের জন্য অনুমতি দিতে পারেন (পাসপোর্ট আইনের ধারা 17 (1) অনুবিধি; পাসপোর্ট আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 29 (1))
1. কেউ এমন কোন দেশ বা অঞ্চলে স্থায়ী আবাস বা এ ধরনের কোন অধিকার লাভ করেছেন যেখানে পাসপোর্ট, ইত্যাদি ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে তাহলে তিনি যদি তার লিভিং বেজ হিসেবে ব্যবহার করা দেশ বা অঞ্চলে অব্যাহতভাবে বসবাস করতে চান;
2. জনস্বার্থে কভারেজ বা রিপোর্ট করার জন্য প্রয়োজন হলে;
3. বিদেশে বসবাসকারী নিম্নোক্ত কারো মৃত্যু বা অন্য কোন সমপর্যায়ের গুরুতর রোগ বা দুর্ঘটনার কারণে কারো জরুরিভাবে দেশ ত্যাগ করা প্রয়োজন হলে:
√ স্ত্রী বা স্বামী
√ বংশধর পূর্বপুরুষ বা উত্তরসূরি বা প্রথমস্থানীয় ব্যক্তির ভাইবোন;
√ বংশধর পূর্বপুরুষ বা উত্তরসূরি বা স্বামী-স্ত্রী’র ভাইবোন
4. জাতীয় এজেন্সি বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় কূটনৈতিক বা নিরাপত্তা মিশনে দায়িত্ব পালন অথবা বিদেশে বসবাসরত কোরিয়ার নাগরিকদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য যখন এর প্রয়োজন হবে;
5. জাতীয় স্বার্থ বা এন্টারপ্রাইজের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজন হলে উপযুক্ত কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক এজেন্সি প্রধানের সুপারিশ (যাতে সুনির্দিষ্টভাবে উদ্দেশ্যগুলো উল্লেখ ও মিশনের বিস্তারিত বিবরণ থাকবে)-এর ভিত্তিতে;
6 উপরে উল্লেখিত 1 থেকে 5 পর্যন্ত কারণের মতো অন্য কোন কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে প্রয়োজন বলে প্রতীয়মান হলে।
- উপরে উল্লেখিত 2 বা 5 নং কারণগুলোর যে কোন একটি কারণে পাসপোর্ট বিশেষ ব্যবহারের অনুমতি পেতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি তার ইন্সটিটিউশন, সংস্থা বা এন্টারপ্রাইজ প্রধানের কাছ থেকে একটি সার্টিফিকেট নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে দাখিল করবেন (পাসপোর্ট আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 29(2))
- পাসপোর্ট ব্যবহার এবং পরিদর্শনের জন্য সফর/সাময়িক আবাসের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট অনুমতিপত্র ইস্যু করা হবে (পাসপোর্ট আইনের বলবৎ বিধি’র ধারা 15 (3) এবং সংযুক্ত 7 এর ফর্ম)
লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডবিধি
- সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে পরিদর্শনের জন্য সফর বা সাময়িক আবাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন কোন দেশ বা অঞ্চলে কেউ যদি অনুমতি ছাড়া পরিদর্শনের জন্য সফর বা অবস্থানের জন্য তার পাসপোর্ট ব্যবহার করে তাহলে তার সর্বোচ্চ 1 বছর জেল বা সর্বোচ্চ 10 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ জরিমানা হতে পারে। (পাসপোর্ট আইনের ধারা 26 (3))
※ ব্যতিক্রমী অনুমতি-সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত বিবরণ ও লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডবিধি যেমন: পাসপোর্টের সীমাবদ্ধতা ব্যবহার একইভাবে ভ্রমণ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে (পাসপোর্ট আইনের ধারা 14 (3) ও 26 (3))
পাসপোর্টের অবৈধ ব্যবহার নিষিদ্ধ
পাসপোর্টের অবৈধ ব্যবহার নিষিদ্ধ
- কোন ব্যক্তি নিম্নলিখিত কর্মকাণ্ড করার অনুমতি পাবে না [(পাসপোর্ট আইনের ধারা 16 (2) থেকে (5))
• আরে ব্যক্তির নামে ইস্যু করা পাসপোর্ট ব্যবহার
• আরেক ব্যক্তিকে ব্যবহারের জন্য পাসপোর্ট হস্তান্তর বা ধার দেয়া, অথবা কোন পাসপোর্ট হস্তান্তর বা ধারের ব্যবস্থা করা;
• ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আরেক ব্যক্তির নামে ইস্যু করা পাসপোর্ট গ্রহণ বা ধার করা;
• কোন বাধ্যবাধকতা পূরণের জমানত হিসেবে পাসপোর্ট দেয়া বা নেয়া।
পাসপোর্ট আদায় করা
- যদি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি উল্লিখিত কোনো কাজ করে থাকেন, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কর্মরত পাসপোর্ট ইস্যু ম্যানেজার বা স্থানীয় সরকার, পুলিশ বা স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের পক্ষে কর্মরত বিচারিক পুলিশ কর্মকর্তা বা কাস্টমস ব্যবসায়িক কর্মকর্তা সরাসরি পাসপোর্টধারীর পাসপোর্ট প্রত্যাহার করতে পারেন (পাসপোর্ট আইন এর ধারা 20 ও ধারা 21 অনুচ্ছেদ 3)।
লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডবিধি
- নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ 2 বছর জেল বা সর্বোচ্চ 20 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ জরিমানা হতে পারে: ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেউ যদি আরেক ব্যক্তির পাসপোর্ট নিয়ে নেন বা ধার করেন (পাসপোর্ট আইনের ধারা 25)
- নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ 1 বছর জেল বা সর্বোচ্চ 10 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ জরিমানা হতে পারে: কোন বাধ্যবাধকতা পূরণের জমানত হিসেবে কেউ পাসপোর্ট দিলে বা নিলে (পাসপোর্ট আইনের ধারা 26 (1) ও (2))।