বাধ্যতামূলক বলবতকরণ
বাধ্যতামূলক বলবতকরণের উদ্দেশ্য
- “বাধ্যতামূলক বলবতকরণ” হলো কোন আইনগত দাবি পূরণের লক্ষ্যে সরকারের নিজ কর্তৃত্ব বলে গৃহীত একটি বাধ্যতমূলক ব্যবস্থা বা কার্যপ্রণালী।
বলবতকরণ নির্দেশ দান
বলবতকরণ অধিকারের উদ্দেশ্য
- “বলবতকরণ অধিকার”-এর মানে হলো কোন বাধ্যতামূলক বলবৎ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি অধিকার। ওই বলবতকরণের অস্তিত্ব ও আওতা উল্লেখপূর্বক এবং এ সংশ্লিষ্ট অধিকার প্রয়োগের কর্তৃত্ব প্রদান করে লিখিত নির্দেশের আকারে সরকারি কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অধিকার মঞ্জুর করতে পারে।
· ঋণ পরিশোধের দাবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলবতকরণ দাবিগুলোর ধরন হবে নিম্নরূপ: (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 24, 56, ও 291)
√ কোন ঋণ পরিশোধের দাবির ওপর চূড়ান্ত ও অকাট্য রায়
√ ঋণ পরিশোধের দাবির পক্ষে কোন সাময়িক বলবতকরণ হিসেবে জারি করা কোন চূড়ান্ত ও অকাট্য রায়
√ ফিক্সড পেমেন্ট আদেশ
√ নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত এমন কোন দলিল, যেখানে বাধ্যতামূলক দাবি বলবতের ব্যাপারে ঋণগ্রহীতার সম্মতি রয়েছে, যা কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, এর বিকল্প, বা অন্যান্য বিনিমেয় জমানত সম্পর্কিত।
√ চূড়ান্ত ও অকাট্য রায় হিসেবে কিছু আইনগত শক্তি রয়েছে এমন বাধ্যবাধকতাপূর্ণ চুক্তি যেমন, আদালতে মধ্যস্থতায় কোন নিস্পত্তি চুক্তি বা কোন দাবির স্বীকৃতিপত্র
√ অস্থায়ী সংযুক্তি আদেশ
বলবতকরণ দলিল জারি
- কোন প্রকৃত রায়ের (এরপর থেকে প্রকৃত “বলবতকরণ দলিল” হিসেবে উল্লেখ করা হবে) মাধ্যমে বাধ্যতামূলক বলবত আরোপ করা যেতে পারে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 28-(1))
· কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারিক আদালতের নিম্নপদস্থ প্রাশসনিক কর্মকর্তার মতো কোন কর্মকর্তা বলবতকরণ দলিল জারি করবেন। তবে, বিচারের রেকর্ড যদি আপিল আদালতে রক্ষিত থাকে, তাহলে আপিল আদালতের নিম্নপদস্থ প্রাশসনিক কর্মকর্তার মতো কোন কর্মকর্তা ওই বলবতকরণ দলিল জারি করবেন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 28-(2))
বলবতকরণ দলিল জারি’র ব্যতিক্রম
- প্রযুক্ত সকল বলবত অধিকারের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে বলবতকরণ দলিল জারি করা প্রয়োজন হলেও, কোন নির্ধারিত পরিশোধ আদেশ, মধ্যস্থতা আদালত সুপারিশের আদলে যে চূড়ান্ত ও অকাট্য রায় দেয়া হয়েছে, বা কোন সাময়িক সংযুক্তি নির্দেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের দলিলের প্রয়োজন হবে না। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 58-(1) ও 292; ক্ষুদ্র দাবি’র বিচার আইনের ধারা 5-8-(1))
সম্পত্তি প্রকাশের পদ্ধতি
সম্পত্তি প্রকাশের পদ্ধতি’র উদ্দেশ্য
- বলবতকরণের অধিকার প্রয়োগে ইচ্ছুক এমন কোন ঋণদাতা “সম্পত্তি প্রকাশের পদ্ধতি” অবলম্বন করতে পারেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে গিয়ে ঋণদাতা যদি ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি চিহ্নিত করতে না পারেন, তাহলে আদালত ওই ঋণগ্রহীতাকে তার সম্পত্তির তালিকা সম্বলিত একটি হলফনামা দখিলের নির্দেশ দিতে পারেন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ওই তালিকায় উল্লেখিত সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করার নির্দেশ দিতে পারেন। নথি দাখিলের দিনে ঋণগ্রহীতা যদি উপস্থিত না হন, বা তালিকা দাখিল না করেন তাহলে তার নাম খেলাপি ঋণগ্রহীতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
·সম্পত্তি প্রকাশের পদ্ধতি’র মূলত নিম্নলিখিত তিনটি অংশ থাকে: ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি প্রকাশ, সম্পত্তি যাচাইকরণ, এবং খেলাপি ঋণগ্রহীতা তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ।
ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি প্রকাশের জন্য ঘোষণা
- অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে বলবত অধিকারের ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণ সূচনা করতে পারেন এমন কোন ঋণদাতা, ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি প্রকাশের জন্য ঋণগ্রহীতার সাধারণ ব্যবহার্য স্থান যে আদালতের আওতাধীন সেখানে আর্জি পেশ করতে পারেন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 61-(1))
· লিখিত আবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো থাকতে হবে: ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতা এবং তাদের আইনি প্রতিনিধিদের (যদি থাকে) নাম; খেলাপি ঋণের পরিমাণ; এবং আবেদনের উদ্দেশ্য; আবেদনের ভিত্তি। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 25-1)
অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন
- একজন ঋণদাতা বলবত অধিকার প্রয়োগের স্বত্ববান হওয়ার পর ছয় (6) মাসের মধ্যে ঋণগ্রহীতা যদি পরিশোধে ব্যর্থ হয়, অথবা ঋণগ্রহীতা কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া আদালতে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানায় বা শপথ নিতে অস্বীকার করে, অথবা ঋণগ্রহীতা তার সম্পত্তির তালিকা দাখিল করতে ব্যর্থ হয় অথবা অসহযোগিতামূলক আচরণ করে, তাহলে ওই ঋণগ্রহীতার নাম খেলাপি ঋণদাতাদের তলিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঋণদাতা আবেদন করতে পারেন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 70-(1))
সম্পত্তি যাচাইকরণ
- ঋণদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সম্পত্তি প্রকাশের মামলা পরিচালনার ক্ষমতা রয়েছে এমন কোন আদালত নিম্নোল্লেখিত পরিস্থিতিতে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পত্তি ও জমা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ন্ত্রণ করে এমন অন্যান্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সংস্থাকে, সম্পত্তির তালিকায় উল্লেখিত তথ্য যাচাই করার নির্দেশ দিতে পারেন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 74)
· ঋণগ্রহীতার ঠিকানা সংশোধনের ব্যাপারে ঋণদাতা আদালত থেকে আদেশ পাওয়ার পরও ঠিকানা অজ্ঞাত থাকায় ঋণগ্রহীতার কাছে সম্পত্তি প্রকাশের নির্দেশ পৌছাতে অপারগ হওয়া
· সম্পত্তি প্রকাশ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঋণগ্রহীতার দেয়া সম্পত্তি তালিকা যদি বলবতকরণ কার্যকর করার জন্য যথেষ্ঠ না হয়
· কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ঋণগ্রহীতা যদি আদালতে হাজির হতে বা শপথ নিতে অস্বীকার করে, অথবা ঋণগ্রহীতা যদি তার সম্পত্তির তালিকা পেশ করতে ব্যর্থ হয় (অর্থাৎ, সম্পত্তি’র ভূয়া তালিকা জমা দেওয়া হয়)
ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি আটক ও বিচারিক বিক্রি
বাধ্যতামূলক বলবতকরণের ধরন
- কোন বাধ্যতামূলক বলবতকরণ তার বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যেতে পারে: কোন স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বলবতকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 78 থেকে 171); জাহাজের মাতো আধা-স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বলবতকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 172 থেকে 186); কোন মটরগাড়ি, নির্মাণ যন্ত্র, বা বিমানের বিপরীতে বলবতকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 187); এবং অধিগম্য বা লাভযোগ্য কোন অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বলবতকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 188 থেকে 274)
স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বলবতকরণ
- ঋণদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, এখতিয়ার রয়েছে এমন আদালত কোন স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণ ব্যবস্থা কার্যকর করত পারে।(দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 78-(1) ও 79)
- বাধ্যতামলূক নিলাম বা একজন বাধ্যতামূলক প্রশাসনের মাধ্যমে কোন স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণ কার্যকর করা হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 78-(2))
· কোন “বাধ্যতামূলক নিলাম” হলো বাধ্যতামূলক বলবতকরণ কার্যকর করার লক্ষ্যে এক ধরনের বিচারিক বিক্রি। বাধ্যতামূলক নিলামের প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপ: (1) একটি বাধ্যতামূলক নিলামের সূচনা (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 83), (2) বিচারিক বিক্রি প্রস্তুতকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 84), (3)বিক্রির তারিখ ও সিদ্ধান্তের তারিখ জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 104), (4) বিচারিক বিক্রির প্রক্রিয়া গ্রহণ (দেওয়ানি নির্বাহ প্রবিধানের 72), (5) বিক্রির আয় লাভ (দেওয়ানি নির্বাহ প্রবিধানের 142), এবং (6) বিতরণ (দেওয়ানি নির্বাহ প্রবিধানের 145)
· কোন “বাধ্যতামূলক প্রশাসনের”র মাধ্যমে আদালত ঋণগ্রহীতাকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ ও স্থাবর সম্পত্তির কোন আয় হস্তান্তরিত করা থেকে বিরত রাখবে এবং ওই আয় ঋণ মেটানো জন্য ঋণদাতাকে পরিশোধের নির্দেশ দেবে। বাধ্যতামূলক প্রশাসনের প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপ: (1) বাধ্যতামূলক প্রশাসন শুরুর আদেশ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 164); এবং বিতরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 169)।
· বাধ্যতামূলক বলবত বা বাধ্যতামূলক প্রশাসনের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে, এবং ঋণদাতা যে আবেদন ফরম পূরণ করবেন তাতে ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার বিস্তারিত বিবরণ, বিষয়ভুক্ত সম্পত্তি, ঋণের পরিমাণ, এবং বলবত অধিকারসহ আবেদনের যেকোন কারণ উল্লেখ করতে হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 81)
আধা-স্থাবর সম্পত্তির বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক বলবত
- স্থাবর সম্পত্তি ছাড়া নিবন্ধিত করা যায় এমন নিম্নলিখিত যেকোন আধা-স্থাবর সম্পত্তি বাধ্যতামূলক বলবতের বিষয়বস্তু: একটি জাহাজ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 172 থেকে 186); একটি বিমান, একটি মটরগাড়ি বা নির্মাণ যন্ত্র। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 187)
অধিগম্য বা লাভযোগ্য কোন অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণ
- কোন অধিগম্য বা লাভযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তি অথবা তৃতীয় কোন পক্ষের কাছ থেকে ঋণগ্রহীতার প্রাপ্যের ওপর বাধ্যতামূলক বলবতকরণ হতে পারে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 188 থেকে 274)
· কোন অধিগম্য অস্থাবর সম্পত্তির ওপর বাধ্যতামূলক বলবতকরণের প্রক্রিয়া নিম্নরূপ: (1) বাজেয়াপ্তকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 189); (2) দরপত্র বা নিলামে বিক্রি (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 199); এবং 3) বিতরণ (দেওয়ানি নির্বাহ প্রবিধানের ধারা 155)।
· ঋণগ্রহীতার প্রাপ্যের বিপরীতে বাধ্যতমূলক বলবতকরণ প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপ: (1) বাজেয়াপ্তকরণ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 223); ও (2) একটি সংগ্রহ আদেশ বা একটি বণ্টন আদেশ (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 229)।
ঋণদাতার সন্তুষ্টি
স্থাবর বা আধা-স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বলবতকরণ
- নিম্নলিখিত ঋণদাতারা একই সঙ্গে কোন বিতরণ লাভ করার যোগ্য হবেন: (ক) যেসব নির্বাহ ঋণদাতা বিতরণ দাবি করার সময়সীমা পার হওয়ার আগে বিড ঘোষণা করেছেন; (খ) যেসব ঋণদাতা বিতরণ দাবি করার সময়সীমা পার হওয়ার আগে বিতরণ দাবি করেছেন; এবং (গ) যেসব ‘প্রভিশনাল এটাচমেন্ট অবলাইজি’ প্রথম নিলাম শুরুর সিদ্ধান্ত নিবন্ধনের আগে নিজেদেরকে নিবন্ধিত করেছেন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 148; (দেওয়ানি নির্বাহ প্রবিধানের ধারা 185))
- যখন কোন স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বাধ্যতমূলক বলবতকরণের ফলে বিক্রির আয় বিতরণের অংশে থাকা সকল ঋণদাতাকে সন্তুষ্ট করার পক্ষে অপর্যাপ্ত হলে, আদালত দেওয়ানি আইন, বাণিজ্যিক আইন, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন মোতাবেক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিতরণ করবে। কোন আধা-স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতের ক্ষেত্রেও ‘মুতাতিস মুতান্দিস’ (mutatis mutandis) হিসেবে এটি প্রযুক্ত হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 145-(2) ও 172)
· বলবতকরণের ব্যয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 53-(1), এছাড়া বিতরণের জন্য বাকি অগ্রাধিকারগুলো হবে নিম্নরূপ:
1. প্রত্যেক কর্মচারির সর্বোচ্চ তিন মাসের পাওনা দাবি যা পরিশোধ করা হয়নি; অথবা বিগত তিন বছরের কোন অবসরভাতা/ দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ ভাতা’র দাবি; এবং কোন আবাসিক সম্পত্তি বা কোন বাণিজ্যিক ভবনের সঙ্গে যুক্ত ক্ষুদ্র আমানত ফেরত দানের দাবি;
2. সম্পত্তির ওপর আরোপিত কর ও সরকারি বকেয়া;
3. কোন নিরাপদ অধিকারের ওপর অগ্রগণ্যতা লাভ করে এমন সাধারণ কর;
4. কোন বন্ধকী দাবি, আইনগত নিবন্ধনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে এমন দাবি, চোনশেগোন (আমানতের ভিত্তিতে নিবন্ধিত ইজারার অধিকার), বা কোন নিবন্ধিত ইজারা, কোন আবাসিক সম্পত্তি বা বাণিজ্যিক ভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লিজ আমানতের দাবি যে আমানতের একটি নির্দিষ্ট তারিখের ব্যাপারে প্রমাণপত্র রয়েছে, সকল কর প্রদানের পর যা অবশিষ্ট থাকবে আইন অনুযায়ী সেগুলোই বাকি থেকে যাবে;
5. বেতন, অবসরভাতা, দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ ভাতা, এবং শ্রমিক স্বর্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য দাবি;
6. বন্ধকীর পর বকেয়া হয়েছে এমন যে কোন কর, বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন চোনশেগোন (আমানতের ভিত্তিতে নিবন্ধিত ইজারার অধিকার);
7. মেডিকেল বীমা, পেনসন বীমা, কর্মবীমা, বা শিল্পদুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা; এবং
8. সাধারণ দাবি
※ ঋণ পরিশোধের কোন দাবি যেহেতু একটি সাধারণ দাবি, তাই এর অগ্রাধিকার হবে 8 নম্বরে
※ কোন স্থাবর সম্পদ যদি বাধ্যতামূলক প্রশাসনের আওতায় থাকে, স্থাবর সম্পত্তির প্রশাসনিক ব্যয় এবং স্থাবর সম্পত্তির ওপর আরোপিত কোন কর ও অন্যান্য সরকারি খাজনা মুনাফা থেকে নির্বাহ করা হবে। ঋণদাতাকে মুনাফার কোন জের প্রদানের আগে এসব ব্যয় কেটে রাখতে হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 169-(1))
বাস্তব এমন কোন অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণ
- কোন বাস্তব অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে বলবতকরণের জন্য ঋণদাতা লিখিত আবেদন জানাতে পারেন (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 4), এবং কোন বলবতকরণ কর্মকর্তা ওই অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মাধ্যমে ওই প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।(দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 189-(1))
- বলবতকরণ কর্মকর্তা একটি যৌক্তিক মূল্যে বাজেয়াপ্ত করা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করবেন (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 199)
- যে ঋণদাতা বলবতের জন্য আবেদন করেছিলেন বিক্রির আয় প্রাপ্তির পর তাকে পরিশোধ করা হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 217 থেকে 221)
কোন প্রাপ্যের বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণ
- কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে ঋণগ্রহীতার কোন প্রাপ্য থাকলে এই প্রাপ্যের বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণের প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে, ঋণদাতা ওই প্রাপ্যের বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতকরণের ব্যাপারে আবেদন জানাতে পারেন। (উদাহরণ: এ-এর কাছ থেকে বি 100,000,000 কেআরডব্লিউ ঋণ নিয়েছে, অন্যদিকে সি-এর কাছ থেকে বি 50,000,000 কেআরডব্লিউ পাওনা। তাহলে ওই পাওনার বিপরীতে বাধ্যতামূলক বলবতের জন্য এ আবেদন জানাতে পারেন।)
- আর্থিক দাবির ভিত্তিতে যখন কোন বলবতকরণের আবেদন জানানে হবে, তখন ঋণদাতা লিখিতভাবে আবেদন করবেন (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 4), শুধু ঋণদাতা, ঋণগ্রহীতা, ঋণগ্রহীতা তৃতীয় ব্যক্তি, এবং বলবতকরণের অধিকার (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের প্রবিধানের ধারা 159) উল্লেখ করলেই হবে না, ধরণ এবং বাজেয়াপ্তকরণের সঙ্গে কি পরিমাণ অর্থের সংযোগ রয়েছে আবেদন ফরমে তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করতে হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 225)
- কোন বিচারিক বিক্রি ও বিক্রি থেকে আয় পরিশোধ একটি সংগ্রহ আদেশ ও একটি বণ্টন আদেশের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
※ আদালত যদি ঋণদাতাকে ঋণ সংগ্রহের কর্তৃত্ব দেয়, তৃতীয় ব্যক্তি ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে সম্পত্তি জব্দকৃত করে সংগ্রহের মাধ্যমে ঋণদাতাকে পরিশোধ করা হবে। এ অবস্থায়, ঋণদাতা তার পরিশোধ পেয়ে গেলে তিনি তা আদালতকে অবহিত করতে বাধ্য থাকবেন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 236-(1))
※ কোন একটি বণ্টন আদেশ চূড়ান্ত এবং অকাট্য হলে, ঋণগ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তির কাছে যখন ওই বণ্টন আদেশ পৌছানো হবে তখন ঋণগ্রহীতা তার ঋণ পরিশোধ করছেন বলে ধরে নেয়া হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 231)
※ সংশ্লিষ্ট ফর্মের জন্য, কোরিয়া লিগ্যাল এইড কর্পোরেশনের হোমপেজে ভিজিট করুন> লিগ্যাল ইনফরমেশন->লিগ্যাল ফর্ম।