দেওয়ানি মামলার উদ্দেশ্য
দেওয়ানি মামলার উদ্দেশ্য
- “দেওয়ানি মামলার উদ্দেশ্য” হলো কোন ব্যক্তির আধিকার সুরক্ষা ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ।
- পরিশোধ বকেয়া হলে একজন ঋণদাতা তার খাতকের কাছ থেকে পরিশোধ দাবি করার অধিকারী হবেন, এবং খাতক যদি পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে ঋণদাতা ওই খাতকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
- পরিশোধের জন্য কোন দাবি বাধ্যতমূলক বিবেচিত হবে এমন পরিস্থিতিতে মামলার ধরন।
দেওয়ানি মামলার অধিক্ষেত্র
- বিবাদির নিবন্ধিত ঠিকানা যে আদালতের আওতাধীন সেখানে দেওয়ানি মামলার কার্যক্রমের জন্য পেশ করতে হবে। তবে, বাদির যদি ওই ঠিকানা জানা না থাকে সেক্ষেত্রে স্থানটি বিবাদির আবাসস্থল হতে পারে, এবং ওই আবাসস্থলের ঠিকানাও যদি বাদির জানা না থাকে, তাহলে বিবাদির যে ঠিকানা বাদির জানা আছে স্থানটি হবে সেই ঠিকানায়। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 3)
- তদসত্ত্বেও, বিবাদির বিরুদ্ধে দায়ের করা কোন দেওয়ানি মামলা কার্যক্রম যদি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট হয় (যেমন, ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তির আওতায় পরিশোধের দাবি), তাহলে দাবির বিষয়বস্তু, অথবা জমানত, অথবা বিবাদির কোন বাজেয়াপ্তযোগ্য সম্পত্তি যে এলাকায় অবস্থিত সেখানকার কোন আদালতে দাবিদার তার দাবি পেশ করতে পারেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 11)
※ আদালতের অবস্থান খুঁজে পেতে আপনি ভিজিট করতে পারেন: <কোর্ট অব কোরিয়া-কোর্টস >
দেওয়ানি মামলার দাবি জারি
দাবির বিবরণ দাখিল
- দাবির বিবরণ দাখিলের মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার দাবি জারি করা যেতে পারে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 248)
দাবির বিবরণ প্রস্তুতকরণ
- কোন দাবির বিবরণে, পক্ষগুলোর ব্যক্তিগত বিস্তারিত পরিচয়, দাবির উদ্দেশ্য, ও দাবি উত্থাপনের কারণ বর্ণনা করতে হবে।
রাজস্ব স্ট্যাম্পের মূল্য পরিশোধ
- কোন দেওয়ানি মামলা কার্যক্রমে, দাবির বিবরণে দাবিকৃত অংকের অভিহিত মূল্যের ওপর ভিত্তি করে রাজস্ব স্ট্যাম্পের মূল্য নির্ধারিত হবে। (দেওয়ানি মামলা, ইত্যাদির জন্য সংযুক্ত স্ট্যাম্প সম্পর্কিত আইনের ধারা 1)
- উপরে উল্লেখিত বিধান সত্ত্বেও, বাদি রেভেনউ স্ট্যাম্প সংযুক্ত করার বদলে কোন নির্ধারিত ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নগদ, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে তার কোর্ট ফি জমা দিতে পারেন। (দেওয়ানি মামলা, ইত্যাদির জন্য সংযুক্ত স্ট্যাম্প সম্পর্কিত আইনের ধারা 1; দেওয়ানি মামলা, ইত্যাদির জন্য সংযুক্ত স্ট্যাম্প সম্পর্কিত প্রবিধানের ধারা 27 ও 28-2)
ক্ষুদ্র দাবির বিচার
ক্ষুদ্র দাবির বিচারের সংজ্ঞা
- কোন “ক্ষুদ্র দাবির বিচার” মানে, যেখানে ক্ষুদ্র কোন দাবি নিস্পত্তির জন্য বিচার করা হয়। এই দাবি হবে 30,000,000 কেআরডব্লিউ বা এর চেয়ে কম অংকের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, এর বিকল্প বা অন্য কোন বিনিমেয়যোগ্য জমানত।
- দাবিকৃত অর্থ যদি 30,000,000 কেআরডব্লিউ বা তারচেয়ে কম এবং দাবি যদি কোন অর্থঋণ চুক্তির ভিত্তিতে করা হয়, তাহলে ক্ষুদ্র দাবি’র বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ বাধ্যতামূলক। (ক্ষুদ্র দাবি বিচার আইনের ধারা 2-(1); ক্ষুদ্র দাবি বিচার প্রবিধানের ধারা 1-2)
- যেহেতু বিচারিক আদালতে ক্ষুদ্র দাবি বিচারের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যপ্রণালী অনুসরণ করা হয় তাই নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বা পুন:আপিল করতে চাইলে আপনাকে সাধারণ দেওয়ানি মামলা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।