পরিশোধ দাবি প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য
পেমেন্ট ডিমান্ড পদ্ধতির উদ্দেশ্য ও সুবিধা
- "পেমেন্ট ডিমান্ড পদ্ধতি"মামলা ও মধ্যস্থতা পদ্ধতির পাশাপাশি আদালতের সাথে জড়িত প্রাথমিক নাগরিক বিরোধ নিষ্পত্তিপ্রক্রিয়ার মধ্যে একটি। এর নিম্নলিখিত সুবিধা রয়েছে (কোরিয়া কোর্টের ইলেকট্রনিকসিভিল পিটিশন সেন্টার - পেমেন্ট ডিমান্ড পদ্ধতি দেখুন):
· আদালত কেবল নথি পর্যালোচনারউপর ভিত্তি করে পেমেন্ট আদেশ জারি করে।
· এটি বিরোধের একটি দ্রুত সমাধানসরবরাহ করে।
· আদালতে ঋণদাতার প্রদত্ত বিভিন্নখরচ সাশ্রয়ী।
· একবার পেমেন্ট অর্ডার নিশ্চিতহয়ে গেলে, এটি চূড়ান্ত রায়ের মতো একইভাবে কার্যকর।
※ পেমেন্ট ডিমান্ডপদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আপনি <কোরিয়া কোর্টের ইলেকট্রনিক সিভিলপিটিশন সেন্টার - পেমেন্ট ডিমান্ড পদ্ধতি> দেখতে পারেন।
পরিশোধ দাবি প্রক্রিয়ার সুবিধা
- পরিশোধ দাবি’র জন্য দেওয়ানি মামলা দায়েরের চেয়ে পরিশোধ দাবি প্রক্রিয়া অনুসরণ একজন ঋণদাতার জন্য অনেক বেশি সুবিধাজনক। কারণ, পরিশোধ দাবি প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হলে, (1) পক্ষগুলোকে আদালতে হাজির হওয়ার প্রয়োজন নেই, (2) পক্ষগুলোকে কোন শুনানিতে অংশ নিতে হবে না; এবং (3) রেভেনিউ স্ট্যাম্পের ফি খুবই কম। ফলে, দেওয়ানি মামলা প্রক্রিয়ার চেয়ে পরিশোধ দাবি পদ্ধতি সহজ, অধিকতর দ্রুত এবং অধিকতর অর্থ সাশ্রয়ী।
পরিশোধ নির্দেশের জন্য আবেদন
পরিশোধ নির্দেশের জন্য আবশ্যকীয়
- কোন সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, এর বিকল্প, বা অন্যান্য বিনিমেয় জমানতের সঙ্গে সম্পর্কিত কোন দাবির ভিত্তিতে পরিশোধ নির্দেশ আবেদন করতে হবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 462)
- পরিশোধের দাবিদার ঋণদাতা এই আবেদন করবেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 462)
- কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের কোন পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন ক্ষেত্রে ওই পরিশোধ নির্দেশের আবেদন করা যাবে না, কারণ এ ধরনের পরিষেবা জনবিজ্ঞপ্তির আওতার বাইরে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 462)
যে আদালতের এক্তিয়ার রয়েছে
- পরিশোধ দাবি ও পরিশোধ নির্দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিম্নলিখিত যেকোন একটি আদালতের একক এখতিয়ারের মধ্যে থাকবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 463)
· ঋণগ্রহীতার নিবন্ধিত ঠিকানা যে জেলা আদালতের আওতাধিন এলাকায় অবস্থিত (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 463ও 3)
· ঋণগ্রহীতার কর্মক্ষেত্র (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 7)
· ঋণগ্রহীতার আবাসস্থল অথবা বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের স্থান (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 8)
· পরিশোধ পদ্ধতি(গুলো) হিসাব-সংশ্লিষ্ট বিল বা চেক-এর জন্য ব্যবহার করা হয় এমন কোন স্থান (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 9)
· কার্যালয় বা ব্যবসা স্থান (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 12)
· যে স্থানে চুক্তিলঙ্ঘন করা হয়েছে (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 18)
আবেদন প্রক্রিয়া
- পরিশোধ আদেশের আবেদনের ক্ষেত্রে দেওয়ানি মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান ‘মুতাতিস মুতানদিস্তো’ (mutatis mutandisto) প্রযোজ্য হবে, কারণ পরিশোধ আদেশের প্রকৃতির সঙ্গে এর কোন বিরোধ নেই। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 464)
- ফলে, এখতিয়ার রয়েছে এমন আদালতে পরিশোধ নির্দেশের জন্য আবেদনপত্র দাখিলের মাধ্যমে কোন ঋণদাতা পরিশোধ দাবি’র প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 248)
পরিশোধ নির্দেশ হিসেবে সিদ্ধান্ত
পরিশোধ নির্দেশ জারি করা হয়নি এমন ক্ষেত্রে
- ঋণগ্রহীতার ঠিকানা সংশোধনের ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কোন ঋণদাতা দেওয়ানি মামলার কার্যক্রম শুরুর জন্য আবেদন করতে পারেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 466-(1))
- জনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোন সেবা পুনর্বহাল ছাড়া পরিশোধ নির্দেশ প্রদান অসম্ভব হয়ে পড়লে, অথবা অন্য কোন দেশে এই নির্দেশ পাঠাতে হলে, আদালত নিজ ক্ষমতাবলে মামলাটিকে দেওয়ানি মামলা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 466-(2))
· আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আপিল করা যাবে না। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 466-(3))
পরিশোধ আদেশ জারি করা হয়েছে এমন ক্ষেত্রে
- ঋণগ্রহীতাকে জিজ্ঞাসা করা ছাড়াই প্রাক্তন অংশে পরিশোধ নির্দেশ জারি করা যাবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 467)
- কোন পরিশোধ আদেশে পক্ষগুলোর নাম, তাদের আইনি প্রতিনিধিগণ, দাবির সংখ্যা ও সারসংক্ষেপ লিপিবদ্ধ থাকবে। আরো লিপিবদ্ধ থাকবে যে, পরিশোধ নির্দেশনামা প্রাপ্তির তারিখ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঋণগ্রহীতা এ ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপন করতে পারবেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 468)
- সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে পরিশোধ নিদের্শ প্রদান করতে হবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 469-(1))
আপত্তি
আপত্তি
- ঋণগ্রহীতা পরিশোধ নির্দেশের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করতে পারেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 469-(2))
আপত্তির কার্যকারিতা
- পরিশোধ নির্দেশ প্রতিপালনের জন্য আদেশ প্রাপ্তির পর দুই সপ্তাহের মধ্যে ঋণগ্রহীতা এর বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করলে ওই নির্দেশ কার্যকারিতা হারাবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 470-(1))
- আপত্তি উত্থাপনের মেয়াদ হবে অপরিবর্তনীয়। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 470-2)
※ “অপরিবর্তনীয় মেয়াদ” একটি স্থিরকৃত সময়সীমা যা আদালত বাড়াতে বা কমাতে পারে না (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 172-(1)), তবে আদালত “অপরিবর্তনীয় মেয়াদে”র ক্ষেত্রে বাড়তি সময় স্থির করতে পারবে কিন্তু তা অন্যান্য বিধিবদ্ধ মেয়াদের মতো হবে না (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 172-(2))। তদসত্ত্বেও, যেখানে কোন পক্ষ তার সংঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোন কারণে অপরিবর্তনীয় মেয়াদ প্রতিপালনে অপারগ হন, ওই কারণ দূরীভুত হওয়ার দিন থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষ যেসব আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন সেগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 173)
আপত্তি প্রত্যাখ্যান
- আদালত কোন আপত্তিকে অবৈধ বলে মনে করলে নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে তা প্রত্যাখ্যান করবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 471-(1))
- এ ধরনের প্রত্যাখ্যান নির্দেশের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আপিল করা যাবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 471-(2))
মামলায় রূপান্তরের
- ঋণগ্রহীতার ঠিকানা সংশোধনের ব্যাপারে আদালত থেকে আদেশ প্রাপ্তিসাপেক্ষে কোন ঋণদাতা যদি দেওয়ানি মামলা কার্যক্রম শুরুর জন্য আর্জি পেশ করেন (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 466-(1)), অথবা আদালত যদি নিজ ক্ষমতাবলে বিষয়টিকে দেওয়ানি মামলা কার্যক্রমভুক্ত করে (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 466-(2)), তাহলে পরিশোধ নির্দেশের আবেদন দাখিলের সময় থেকে দেওয়ানি মামলা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 472-(1))
- পরিশোধ আদেশের জন্য আর্জি পেশ করা হলে, যদি এই আদেশের বিরুদ্ধে ঋণগ্রহীতার উত্থাপিত আপত্তি বৈধ হয়, তাহলে যে কারণে আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে সেই দাবিকৃত বিষয়বস্তুর মূল্য বিবেচনায় আইনি কার্যক্রমের সূচনা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।(দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 472-(2))
মামলায় রূপান্তরের পর স্বাভাবিক প্রবণতা
- দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের 472 ধারা অনুযায়ী কোন দেওয়ানি মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে বিবেচিত হবে এমন ক্ষেত্রে, যে আদালত পরিশোধ আদেশ জারি করেছে সেই আদালত ঋণদাতাকে একটি যৌক্তিক সময় বেধে দিয়ে, দেওয়ানি মামলা কার্যক্রম শুরুর জন্য আবেদনের সময় যে অংকের স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে, অথবা দেওয়ানি মামলা কার্যক্রম শুরুর জন্য যে অংকের স্ট্যাম্প প্রয়োজন হবে তার, বাকি অংকের স্ট্যাম্প সম্পূরক হিসেবে যুক্ত করার নির্দেশ দেবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 473-(1))
- আদালত কর্তৃক বেধে দেয়া যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে কোন ঋণদাতা সম্পূরক স্ট্যাম্প সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হলে পরিশোধ আদেশ জরি করা আদালত আদেশ প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধ নির্দেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করবে। এই আদেশের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আবেদন করা যাবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 473-(2))
- সম্পূরক স্ট্যাম্প যুক্ত করা হলে, আদালতের নিম্নপদস্থ নির্বাহী কর্মকর্তার মতো কোন কর্মকর্তা, দ্রুততার সঙ্গে ওই মামলার রেকর্ড আইনগত এখতিয়ার রয়েছে এমন আদালতের কাছে পাঠাবেন। এ ক্ষেত্রে, মামলাটি যদি কলেজিয়েট প্যানেলের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে তাহলে, আদালতের নিম্নপদস্থ নির্বাহী কর্মকর্তার মতো কোন কর্মকর্তা, দ্রুততার সঙ্গে ওই মামলার রেকর্ড আইনগত এখতিয়ার রয়েছে এমন কলেজিয়েট প্যানেলের কাছে পাঠাবেন। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 473-(3))
- এমন কোন ঘটনা, যেখানে পরিশোধ দাবির প্রক্রিয়া দেওয়ানি মামলা কার্যক্রমে স্থানান্তর করা হয়েছে, সেখানে মামলা প্রক্রিয়ার দাবি উত্থাপনের ব্যয় দেওয়ানি মামলা কার্যক্রমের ব্যয়ের অংশ বলে বিবেচিত হবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 473-(4))
পরিশোধ নির্দেশের কার্যকারিতা
- কোন পরিশোধ নির্দেশের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা না হলে, অথবা আপত্তি প্রত্যাহার করে নেয়া হলে, প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে রায় হবে চূড়ান্ত ও অকাট্য। উল্লেখিত ওই পরিশোধ নির্দেশ চূড়ান্ত ও অকাট্য রায়ের মতো একইভাবে কার্যকর হবে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 474)