BANGLADESH

ঋণচুক্তি
সাময়িক সংযুক্তি
পরিরক্ষণ ব্যবস্থা হিসেবে অস্থায়ী সংযুক্তি
- “পরিরক্ষণ ব্যবস্থা”র মানে হলো যতদিন পর্যন্ত বাধ্যতামূলক বলবতের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার সম্পদ বিক্রির অধিকার অর্জিত না হয় ততদিন পর্যন্ত তা আটকে রাখার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ।
- কোন আর্থিক বা অর্থে রূপান্তরযোগ্য দাবি’র ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার সম্পদের বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক বলবৎ পরিরক্ষণের জন্য একটি “সাময়িক সংযু্ক্তি” কার্যকর হতে পারে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 276)
সাময়িক সংযুক্তির কার্যকারিতা ও সুবিধা
- সাময়িক সংযুক্তি একজন ঋণগ্রহীতাকে অবিলম্বে পরিশোধে বাধ্য করতে পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে, মেয়াদ সীমায় বিঘ্নতা সৃষ্টির ক্ষেত্রেও প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে।
- সাময়িক সংযুক্তির মাধ্যমে কোন মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 168)
সাময়িক সংযুক্তি কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে
- সাময়িক সংযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রথাগত বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে জেলা আদালতের এখতিয়ার, কারণ যে এলাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করা হবে তা ওই আদালতের অধিক্ষেত্র, অথবা মূল দাবির যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে আদালতের বিচারের আওতাধীন। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 278 ও 21)
- সাময়িক সংযুক্তির জন্য কোন আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত জিনিসগুলো প্রদান করতে হবে (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 279-(1)):
· আবেদনকারী এবং যদি তার আইনি প্রতিনিধি(রা) থাকেন তাদের বিস্তারিত ব্যক্তিগত বিবরণ (দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ধারা 249-(1))
· দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ (উল্লেখ্য: দাবি যদি আর্থিক না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দাবিকে আর্থিক মূল্যে পরিবর্তন করে দিতে হবে)
· বস্তুগত প্রমাণ যা সাময়িক সংযুক্তি আদেশ প্রদানের ভিত্তি হতে পারে (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 277)
- কোন শুনানি অনুষ্ঠান ছাড়াই সাময়িক সংযুক্তির আদেশ জারি করা যেতে পারে (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 280-(1)), দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ এবং সাময়িক সংযুক্তি আদেশের ভিত্তি আবেদনপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। (দেওয়ানি নির্বাহ আইনের ধারা 279-(2))