মেয়াদ সীমার উদ্দেশ্য
মেয়াদ সীমার উদ্দেশ্য
- কোন “মেয়াদ সীমা”র মানে হলো দাবি করার অধিকার রয়েছে এমন কোন পক্ষ যে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে তার দাবি পেশ করবে। মেয়াদসীমার মধ্যে ওই পক্ষ দাবি উত্থাপন না করলে, তার দাবি করার অধিকার নি:শেষ হয়ে যাবে।
· মেয়াদ সীমা অতিক্রম হওয়ায় যদি মূল ঋণ নি:শেষ হয়ে যায়, তাহলে জমা হওয়া সুদের ওপর অধিকারও নি:শেষ হয়ে যাবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 183)
দাবির মেয়াদ সীমা
দেওয়ানি দাবি
- দাবির মেয়াদকাল দশ (10) বছরের মধ্যে কোন দাবি উত্থাপন করা না হলে কোন দেওয়ানি দাবি আর উত্থাপন করা যাবে না। (দেওয়ানি আইনের ধারা 162-(1))
বাণিজ্যিক দাবি
- বাণিজ্যিক আইনে অন্যকিছু না থাকলে, বাণিজ্যিক লেনদেন থেকে সৃষ্ট কোন আর্থিক দাবি পাঁচ বছরের মধ্যে উত্থাপন করা না হলে তা বাতিল হয়ে যাবে। (বাণিজ্য আইনের ধারা 64)
এক বছর বা তারও কম সময়ের জন্য সৃষ্ট সুদ দাবি
- তিন বছরের মধ্যে দাবি তেলা না হলে এক (1) বছর বা তারচে কম সময়ের জন্য সৃষ্ট সুদের দাবি বাতিল হয়ে যাবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 163)
আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত দাবির মেয়াদ সীমা
- আদালতের রায়ে কোন দাবি প্রতিষ্ঠিত হলে, এমন কি কোন বাস্তবিক দাবি উত্থাপনের মেয়াদ সীমা দশ (10) বছরের কম হলেও, এর মেয়াদ সীমা হবে দশ (10) বছর। (দেওয়ানি আইনের ধারা 165-(1))
- কোন দেউলিয়া মামলার ফলে কোন দাবির মেয়াদ সীমা প্রতিষ্ঠিত হলে, আদালতের মধ্যস্থতা, অথবা অন্য বিকল্প কোন বিরোধ নিস্পত্তি ব্যবস্থার কার্যকারিতার মেয়াদও আদালতের রায়ের মতো একই দশ (10) বছর হবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 165-(2))
- অপরিণত দাবির ক্ষেত্রে, রায় প্রদানকালে তখনো যদি পরিশোধ বকেয়া না হয়, রায়ের দ্বারা দাবি প্রতিষ্ঠিত হলেও মেয়াদ সীমা দশ (10) বছরের বেশি হতে পারবে না। (দেওয়ানি আইনের ধারা 165-(3))
মেয়াদ সীমার সূচনা তারিখ
মেয়াদ সীমার সূচনা তারিখ
- যখন থেকে অধিকার প্রয়োগ শুরু করা যায় তখন থেকে মেয়াদ সীমা শুরু হবে (দেওয়ানি আইনের ধারা 166-(1))
· “যখন থেকে অধিকার প্রয়োগ শুরু করা যায়”-এর মানে হলো:
শ্রেণীবিন্যাস
|
“যখনথেকেঅধিকারপ্রয়োগশুরুকরাযায়”-এরমানে
|
উদাহরণ
|
যেখানে একটি নির্ধারিত তারিখের ব্যাপারে সম্মত হওয়া গেছে
|
নির্ধারিততারিখ
|
2015.3.1 1মার্চ, 2015
|
যেখানেকোনতারিখনির্ধারণেরব্যাপারেএকমতহওয়াযায়নি, তবেঋণএকটি ‘ফিক্সড-টার্মঋণ
|
ঋণেরমেয়াদযখনউত্তীর্ণহয়েযাবে, এবংওইউত্তীর্ণহওয়অসম্পর্কেদাবিদারজ্ঞাতথাকবেন
|
ফসলওঠারপরসরকারযখনচালকেনাশুরুকরে
|
চুক্তিতেযেমনসম্মতিনেই, তেমনিউল্লেখওনেই
|
ঋণদাতাযখনতারপরিশোধদাবিপ্রয়োগকরতেসক্ষমহবেন
|
|
যখনপরিশোধেরব্যাপারেসুনির্দিষ্টকোনশর্তথাকবে
|
যেসময়েশর্তপূর্ণহবে
|
কোন ব্যক্তি পাবলিক অফিসিয়াল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়
|
মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটানো
মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটনো
- মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই একজন ঋণদাতা মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটাবেন।
- নিম্নলিখিত উপায়ে একজন ঋণদাতা মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটাতে পারেন: আদালতে দাবি উত্থাপন করে, দেউলিয়া মামলায় একটি পক্ষ হিসেবে অংশগ্রহণ করে, কোন পরিশোধ নির্দেশের জন্য আবেদন করে, আদালতের মধ্যস্থতার জন্য আবেদন করে, আদালতে স্বেচ্ছায় উপস্থিত হয়ে, অথবা কোন সংযুক্তি আদেশ বা অন্তবর্তীকালিন সংযুক্তি আদেশের জন্য আবেদন করে। এমন কোন ক্ষেত্র যেখানে ঋণগ্রহীতা তার ঋণ স্বীকার করেছেন, তখন মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটবে।
মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটানোর কার্যকারিতা
- যেখানে মেয়াদ সীমায় কোন বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে, ওই বিঘ্নতা আমলে না নেয়া পর্যন্ত সময় ধরা হবে না, ওই বিঘ্নতা আমলে নেয়ার পর থেকে নুতন মেয়াদ সীমা শুরু হবে (দেওয়ানি আইনের ধারা 178-(1))
· আদালতে দাবি জানানোর মাধ্যমে মেয়াদ সীমায় বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে এমন ক্ষেত্রে, যখন চূড়ান্তভাবে কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হবে তখন থেকে নতুন মেয়াদ সীমা শুরু হবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 178-(2))