পরিশোধ আদালতে জমাদান
পরিশোধ আদালতে জমাদানের উদ্দেশ্য
- ঋণদাতা যদি ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে পরিশোধ গ্রহণ করতে অস্বীকৃত জানায় বা অক্ষম হয়ে পড়ে, তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তি আদালতে জমাদানের মাধ্যমে তার ঋণ বাধ্যবাধকতা পালন করতে পারেন। ঋণগ্রহীতার পক্ষ থেকে অবহেলার কারণেও ঋণদাতা একই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। (দেওয়ানি আইনের ধারা 487)
পরিশোধ আদালতে জমাদানের কার্যকারিতা
- আদালতে পরিশোধ প্রদান সম্পন্ন হয়ে গেলে, ঋণগ্রহীতা তার ঋণ দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন। (দেওয়ানি আইনের ধারা 487)
পরিশোধ আদালতে জমাদানের স্থান
- বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের জন্য আদালতের পরিশোধ দফতরে গিয়ে পরিশোধ জমা দিতে হবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 488-(1))
· আদালতে পরিশোধ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে আদালত (কোর্ট অর্গানাইজেশন এ্যাক্ট-এর ধারা 2), এবং জেলা আদালত, সেগুলোর শাখা এবং কান্ট্রিকোর্টগুলো এসব বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
※ আদালতের অবস্থান জানতে আপানি ভিজিট করতে পারেন: <কোর্ট অব কোরিয়া-কোর্টস>
আবেদন ও পরিশোধ প্রক্রিয়া
আদালতে পরিশোধের জন্য আবেদন
- আদালতের জমাদানের আবেদন করতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তিকে দুই কপি আবেদনপত্র পূরণ করে তা কোর্ট ডেপজিট কর্মকর্তার কারছে জমা দিতে হবে, এবং মনোনীত জিম্মাদারের কাছে দ্রব্যসম্ভার হস্তান্তর করতে হবে (অথবা নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে)। ( আমানত আইনের ধারা 4; আমানত প্রবিধানের ধারা 20-1)
আমানতের জন্য দাবি এবং প্রাপ্তি
জমাকারীর নোটিশের মাধ্যমে
- জামাকারী তার জমা সম্পর্কে ঋণদাতার অবগতির জন্য অবিলম্বে নোটিশ পাঠাবেন। (দেওয়ানি আইনের ধরা 488-(3))
আমানতের জন্য দাবি এবং প্রাপ্তি
- ঋণদাতা যদি আমানতের জন্য দাবি করে এবং তা পেয়ে যায় তাহলে, তার কাছে যে ঋণ বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার অবসান হতে পারে।
- কোন ব্যক্তি আমানতের দাবি ও তা পেতে চাইলে তাকে নিম্নলিখিত দলিল সংযুক্ত করে দাবি ফরম পেশ করতে হবে (আমানত প্রবিধানের ধারা 33)
· ডেপজিট কর্মকর্তা আমানতের নোটিশ দিয়ে থাকেন (আমানত প্রবিধানের ধারা 29), তদসত্ত্বেও, নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে আমানতের নোটিশের কোন প্রয়োজন নেই:
√ এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে আমানতের অংক 50,000,000 কেআরডব্লিউ বা তার কম (একই সঙ্গে এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে ডেপজিটকৃত দলিলের আলোচনাসাপেক্ষ অভিহিত মূল্য 50,000,000 কেআরডব্লিউ বা তার কম)। তদসত্ত্বেও, দাবিদার যদি কোন সরকারি দফতর বা কোন ইনকর্পোরেট-বহির্ভুত কর্পোরেশন / ফাউন্ডেশন হয়, ওই ধরনের আমানতের সর্বোচ্চ অংক হবে 10,000,000 কেআরডব্লিউ বা তার কম।
√ এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে দাবি ফর্মের সঙ্গে আমানতের কোন সনদ বা আগ্রহী পক্ষের একটি অনুমোদন পত্র সংযোজন করা হয়েছে।
√ এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে বাধ্যতামূলক প্রয়োগ অনুসরণ করা বা বকেয়া কর পরিশোধের লক্ষ্যে দাবি জানানো হয়েছে
√ এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে আমানতের কোন নোটিশ পাঠানো হয়নি
· এমন কোন দলিল যা প্রমাণ করে যে আমানত দাবি করার অধিকার ওই দাবিদারের রয়েছে। তবে, যেখানে আমানতের সনদ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হবে, সেখানে ওই ধরনের দলিল পেশের প্রয়োজন নেই।
· আমানতের ব্যাপারে কোন বিবেচনার প্রয়োজন দেখা দিলে, নিম্নলিখিত দলিলগুলোর প্রয়োজন হবে: আমানতকারির লিখিত বিবৃতি, লিখিত রায়, সরকারি দলিল বা সরকারি দফতর কর্তৃক প্রণীত অন্যান্য দলিল। (আমানত আইনের ধারা 10)
আমানত প্রত্যাহার
আমানত প্রত্যাহার
- নিম্নলিখিত যে কোন এক বা একাধিক পরিস্থিতে, আমানতকারী ওই পরিস্থিতি উদ্ভবের প্রমাণ দিয়ে আমানত প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। (আমানত আইনের ধারা 9-(2))
· মন কোন পরিস্থিতি যেখানে ঋণদাতা ওই আমানত অনুমোদন করেছেন, অথবা ঋণদাতা আমানত কর্মকর্তাকে অনুমোদন নোটিশ দিয়েছেন, অথবা আদালত কোন রায় দেয়ার আগেই জমাদানকারী ওই আমানত প্রত্যাহার করে নিতে ইচ্ছুক হন। (দেওয়ানি আইনের ধারা 489)
· এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে ভুলক্রমে জমা করা হয়েছে
· এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে জমাদানের কারণ নিস্পত্তি হয়েছে
※ তবে, ওই জমাদানের কারণে কোন অঙ্গীকার বা বন্ধকী বিলুপ্ত হলে ওই আমানত প্রত্যাহার করা যাবে না। (দেওয়ানি আইনের ধারা 489-(2))
- আমানত প্রত্যাহার করে নেয়া হলে আমানত রাখা হয়নি বলে ধরে নেয়া হবে । (দেওয়ানি আইনের ধারা 489-(1)
- জামাকৃত বস্তু অর্থ হলে, ওই অর্থের ওপর সৃষ্ট সুদ প্রাপ্তি ও সংগ্রহের দাবি জানানোর মেয়াদ 10 বছর পর উত্তীর্ণ হয়ে যাবে, এই সময়ের মধ্যে ওই অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। (আমানত আইনের ধারা 9-(3))
আপত্তি উত্থাপন
জমাদানের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন
- ডেপজিট কর্মকর্তার আমানত গ্রহণের কারণে কোন ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হলে সে তার এখতিয়ারের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে আপত্তি উত্থাপন করতে পারেন (আমানত আইনের ধারা 12-(1))
- যিনি আপত্তি উত্থাপন করবেন তাকে ডেপিজিট কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। (আমানত আইনের ধারা 12-(2))
ডেপজিট কর্মকর্তার পুনর্বিবেচনা
- ডেপজিট কর্মকর্তা যদি কোন অভিযোগকারীর উত্থাপিত আপত্তির যৌক্তিক ভিত্তি আছে বলে মনে করেন, তাহলে ওই ডেপজিট কর্মকর্তা উত্থাপিত আপত্তির বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং অভিযোগকারীকে ওই গৃহীত ব্যবস্থার বিষয়াবলী অবহিত করবেন। (আমানত আইনের ধারা 13-(1))
- ডেপজিট কর্মকর্তা যদি কোন অভিযোগকারীর উত্থাপিত আপত্তির যৌক্তিক কোন ভিত্তি নেই বলে মনে করেন, তাহলে তিনি তার মতামত সম্বলিত পত্র জেলা আদালতে দাখিল করবেন। এই দাখিল হতে হবে আবেদনপত্র গ্রহণের তারিখ থেকে 5 কার্যদিবসের মধ্যে। (আমানত আইনের ধারা 13-(2))
উত্থাপিত আপত্তি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ও আপিল
- এখতিয়ার রয়েছে এমন জেলা আদালত এ ব্যাপারে রায় দেবেন এবং ওই রায় অভিযোগকারীকে অবহিত করা হবে। রায় যদি অভিযোগকারীর পক্ষে যায়, তাহলে জেলা আদালত ডেপজিট কর্মকর্তাকে যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবেন। (দেওয়ানি আইনের ধারা 14-(1))
- নন-কন্টিনিউয়াস কেস প্রসিডিউর এ্যাক্ট অনুযায়ী অভিযোগকারী বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল জানাতে পারেন। (আমানত আইনের ধারা 14-(2))