ঋণগ্রহীতার আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও বাজেয়াপ্তযোগ্য সম্পদ
ঋণগ্রহীতার আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও বাজেয়াপ্তযোগ্য সম্পদ
- ঋণগ্রহীতার সম্পদের প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া ঋণদাতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, ঋণগ্রহীতা খেলাপিতে পরিণত হলে তার ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিক্রি করে ঋণ আদায়ের জন্য ঋণদাতাকে আইনগত প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিতে হতে পারে।
- প্রকৃতি অনুযায়ী ঋণগ্রহীতার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার মাধ্যমে ঋণ আদায়ের অধিকার প্রয়োগ করা যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যেসব বস্তু বাজেয়াপ্ত করা হবে তাকে ‘বাজেয়াপ্তযোগ্য সম্পদ’ বলা হয়।
জমানত চুক্তির উদ্দেশ্য
জমানত চুক্তির উদ্দেশ্য
- “মানত চুক্তির উদ্দেশ্য হলো আইনের আওতায় ঋণের নিরাপত্তা বা পরিশোধের নিশ্চয়তা বিধান।
- জমানত চুক্তিকে দু’শ্রেণীতে ভাগ করা যায়: ব্যক্তিগত জমানত চুক্তি ও সম্পত্তি জমানত চুক্তি।
· “ব্যক্তিগত জমানত চুক্তি” বলতে তৃতীয় কোন পক্ষের “বাজেয়াপ্তযোগ্য সম্পদ” যুক্ত করার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করার চুক্তিকে বুঝায়।
· “সম্পত্তি জমানত চুক্তি” বলতে ঋণগ্রহীতা বা তৃতীয় কোন পক্ষের মালিকানাধিন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ সুরক্ষিত বা নিযুক্ত করার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করার চুক্তিকে বুঝায়।
জমানত চুক্তি সম্পাদন
জমানত চুক্তি সম্পাদন
- ঋণগ্রহীতার আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা বিবেচনা করে ঋণদাতা তার সঙ্গে কোন সম্পদ জমানত চুক্তি বা ব্যক্তিগত গ্যারান্টি চুক্তি সম্পাদন করতে পারেন।
- কোন ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি জমানত চুক্তি সম্পাদন করা যায়। তবে প্রথমটি হবে দ্বিতীয়টি থেকে পুরোপুরি আলাদা ও স্বতন্ত্র।
· একান্তভাবে ঋণগ্রহীতা জমানত নিতে বাধ্য নয়। ফলে, শুধু ঋণগ্রহীতাই নয় তৃতীয় কোন পক্ষও জমানত চুক্তির পক্ষ হতে পারে।