কর্জপত্র প্রস্ততকরণ
ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তি: কর্জপত্র
- একজন ঋণদাতা (অর্থাৎ যে ব্যক্তি ঋণ দেয়) ও একজন ঋণগ্রহীতা (অর্থাৎ যে ব্যক্তি ঋণ নেয়) কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তখন ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তি কার্যকর হয়। (দেওয়ানি আইনের ধারা 598)
·প্রধানত, ভোক্তা অর্থঋণের জন্য লিখিত চুক্তির খসড়া তৈরি করে সম্ভাব্য বিরোধ প্রতিরোধকরতে পারে যা পরবর্তীতে পক্ষের মধ্যে দেখা দিতে পারে (সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট- যোগাযোগ – অ্যাক্সেসযোগ্য লিগাল লেকচার - দৈনন্দিন জীবনে চুক্তি দেখুন)।
· ঋণপরিশোধের পরে, ঋণগ্রহীতাকে মূল প্রতিশ্রুতি নোটটি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং ঋণদাতারকাছ থেকে একটি রসিদ নিতে হবে (সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট - যোগাযোগ – অ্যাক্সেসযোগ্যলিগাল লেকচার - দৈনন্দিন জীবনে চুক্তি দেখুন)।
কর্জপত্রের গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী
- প্রতিশ্রুতি নোটে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্তথাকতে হবে: (সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট - যোগাযোগ – অ্যাক্সেসযোগ্য লিগাল লেকচার- দৈনন্দিন জীবনে চুক্তি)
· পরিমাণনির্দিষ্ট করা
√ ঋণের মূল পরিমাণ এখানে উল্লেখ করতে হবে। ভুল প্রতিরোধের জন্য, কোরিয়ানহাঙ্গেউল এবং আরবি উভয় সংখ্যা পদ্ধতিতেই পাশাপাশি পরিমাণটি লেখা নিরাপদ।
· ব্যক্তিগতবিবরণ রেকর্ড করা
√ অর্থ ঋণ প্রদানকারী ব্যক্তিকে ক্রেডিটর (ঋণদাতা) বলা হয় এবং অর্থ ধারকারীব্যক্তিকে ডেবটর (ঋণগ্রহীতা) বলা হয়।
√ ঋণগ্রহীতা যদি তার নিজের হাতের লেখায় তার ব্যক্তিগত বিবরণ লিখে রাখেন তবেপরবর্তীতে সম্ভাব্য বিরোধ রোধ করার জন্য এটি আরো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ হতে পারে।
· সুদ
√ যদি সুদ নির্দিষ্ট না হয় তাহলে আপনি কোনো ঋণের সুদ দাবি করতে পারবেন না।তবে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঋণের ক্ষেত্রে, এমনকি বিশেষ চুক্তি ছাড়াই, ঋণদাতা আইনীভাবেসুদের হার (বার্ষিক 6%) দাবি করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি যদি সুদ দিতে সম্মত হন তবে হারনির্দিষ্ট না থাকে তাহলে সাধারণ ঋণ 5% বার্ষিক হারে এবং বাণিজ্যিক ঋণ 6% হারে চার্জকরা হয়।
√ সুদ প্রদান বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে: এটি কিস্তিতে এবং মাসিক প্রদানকরা যেতে পারে, মূলধন পরিশোধের সময় একবারে অর্থ প্রদান করা যেতে পারে, বা এমনকি অগ্রিমপ্রদান করা যেতে পারে (সাধারণত প্রি-পেইড সুদ হিসেবে পরিচিত)।
√ পূর্বের আইন সীমিত সুদের হার বিলুপ্তকরা হয়েছে, কিন্তু ক্রেডিট ব্যবসা নিবন্ধন এবং অর্থ ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা সম্পর্কিতবর্তমান আইনের অধীনে, রাষ্ট্রপতির ডিক্রি দ্বারা মনোনীত ব্যক্তি বা ছোট কর্পোরেশনকেঋণ দানকারীদের জন্য সর্বোচ্চ সুদের হার বার্ষিক 66% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
· কিভাবে এবং কখন ঋণী পরিশোধ করা হবে
√ অর্থ প্রদানের নির্ধারিত তারিখ অর্থ পরিশোধেরজন্য পক্ষের মধ্যে সম্মত দিনকে বোঝায়। যদি পক্ষগুলো এককালীন অর্থের পরিবর্তে কিস্তিতেঋণের অর্থ পরিশোধ করতে সম্মত হয় তাহলে এটি উল্লেখ করতে হবে।
√ ক্রেডিটরের (ঋণদাতা) বর্তমান ঠিকানায় অর্থপ্রদান করতে হবে যদি না পক্ষগুলো অন্যথায় সম্মত হয় (তবে, ব্যবসা-সম্পর্কিত ঋণের অর্থপ্রদান ঋণদাতার বর্তমান ব্যবসায়িক অবস্থানে করতে হবে)। চুক্তিতে অর্থ পরিশোধ করতেঋণদাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর উল্লেখ করা অথবা উভয় পক্ষের পক্ষে সুবিধাজনক স্থাননির্দিষ্ট করা সুবিধাজনক।
※ ঋণ চুক্তির খসড়াকীভাবে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য <সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট- যোগাযোগ - অ্যাক্সেসযোগ্য লিগাল লেকচার - দৈনন্দিন জীবনে চুক্তি> তে পাওয়া যাবে।
পাওনাদার ও দেনাদার
পাওনাদার ও দেনাদারের বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন, জাতীয় নিবন্ধন নম্বর ও ঠিকানা)
- ভোক্তা অর্থঋণের চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী পাওনাদার (ঋণদাতা) ও দেনাদার (ঋণগ্রহীতা) উভয়েই সঠিকভাবে উল্লেখ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- চুক্তি স্বাক্ষরের আগে চুক্তির পক্ষগুলো পরস্পরকে যাচাই করতে পরস্পরের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে নেবেন।
অন্যপক্ষ এক বা একাধিক এটর্নি নিযুক্ত করলে সে ক্ষেত্রে
- অন্যপক্ষ যদি এক বা একাধিক এটর্নি নিযুক্ত করে, তাহলে আপনাকে চুক্তিতে এটর্নি বা এটর্নিদের কর্তৃত্ব সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং তাদের পরিচয়পত্রগুলো যাচাই করে নিতে হবে।
- অন্যপক্ষের নিযুক্ত এটর্নি বা এটর্নিরা যদি ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তাহলে আপনাকে তাদের পাওয়ার অব এটর্নি দেখে নিতে হবে, যা অন্যপক্ষের কাছ থেকে এটর্নিদের পাওয়া কর্তৃত্বের প্রমাণ।
※ পাওয়ার অব এটর্নির কোন টেমপ্লেট দেখতে আপনি ভিজিট করতে পারেন: <কোরিয়া লিগ্যাল এইড কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট-লিগ্যাল ইনফরমেশন-লিগ্যাল টেমপ্লেট>।
ঋণের পরিমাণ
মূল অংক
- যে পরিমাণ অর্থ ঋণ করা হচ্ছে তার মূল অংক সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
· বানানগত ভুল এড়াতে কোন সংখ্যা লেখার সময় সংখ্যায় ও বানান করে দু’ভাবেই লেখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে
সুদ
সুদমুক্ত ঋণ
- ওনাদার (বা ঋণদাতা) যদি সুদমুক্ত ঋণ দিতে রাজি হয়, তাহলে এ ধরনের সম্মতির বিবরণ সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সুদযুক্ত ঋণ
- কোন ভোক্তা অর্থঋণ যদি সুদযুক্ত হয়, তাহলে চুক্তিতে এর বিবরণ বিশদভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- ঋণের হিসাব একটি সুদযুক্ত হিসাব বলে যদি চুক্তিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে, এবং সেখানে সুদের কোন নির্দিষ্ট হার উল্লেখ না থাকে, তাহলে সুদের হার হবে বার্ষিক পাঁচ শতাংশ (5%)। এটি সুদের সংবিধিবদ্ধ হার (দেওয়ানি আইনের ধারা 379 ও 397-(1))
※ উপরে যাই বলা হোক না কেন, অর্থ লেনদেন যদি বাণিজ্যিক প্রকৃতির হয় তাহলে সংবিধিবদ্ধ সুদের হার হবে বার্ষিক ছয় শতাংশ (6%)। (বাণিজ্য আইনের ধারা 54)
সুদের পরিমাণ ও সুদ হার নিয়ে চুক্তি
- যেক্ষেত্রে ঋণের মূল পরিমাণ 100,000 কেআরডব্লিউ বা তার বেশি, সেখানে চুক্তিবদ্ধ পক্ষগুলো সুদের হারের ব্যাপারে অবাধে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে এ ধরনের সুদের হার বার্ষিক বিশ শতাংশের (20%) বেশি হতে পারবে না। (সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা 2(1) এবং 2 (5); সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের 2(1) ধারার “সর্বোচ্চ সুদ হার বিধি”)
· সর্বোচ্চ হারের চেয়ে বেশি সুদ নিয়েছে এমন কোন ব্যক্তিকে শাস্তি হিসেবে কারদণ্ড দেয়া যাবে, তবে এর মেয়াদ এক (1) বছর অথবা অর্থদণ্ড 10,000,000 কেআরডব্লিউ-এর বেশি হবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে একই সঙ্গে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া যেতে পারে। (সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-8)
আগাম সুদভিত্তিক ঋণচুক্তি
- ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তিবদ্ধ পক্ষগুলো কোন একটি সুদের হারের ব্যাপারে একমত হওয়ার পর ওই পক্ষগুলো আসল থেকে ওই সুদ আগামে কেটে নেয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারেন। (সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা 2-(1) ও 3; সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের 2-(1) ধারার “সর্বোচ্চ সুদ হার বিধি”)
· যেমন, কোন পক্ষদ্বয় বার্ষিক বিশ শতাংশ (20%) হার সুদে একটি ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তি করেছে, যার মূল অর্থের পরিমাণ 10 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ। ঋণদাতা মূল অর্থ 10 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ থেকে আগাম সুদ হিসেবে 2 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ কেটে নিয়ে ঋণগ্রহীতাকে 8 মিলিয়ন কেআরডব্লিউ দিতে পারে।
- আগাম সুদ কেটে নেয়া হয়েছে এমন ক্ষেত্রে যদি মনে হয় মূল অংকের ওপর মোট পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ বার্ষিক বিশ শতাংশ (20%) এর বেশি, তাহলে সেক্ষেত্রে ওই বাড়তি অংশ ঋণের আংশিক পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে। (সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা 2(1) ও 3; সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের 2(1) ধারার “সর্বোচ্চ সুদ হার বিধি”)
সুদের সর্বোচ্চ হারের সীমা অতিক্রমের ফল
- চুক্তির ফলে যে সুদ জমা হয়েছে তা যদি বার্ষিক বিশ শতাংশ (20%) এর সীমা অতিক্রম করে তাহলে এই বাড়তি অংশ অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে এবং এর কোন প্রভাব পড়বে না।(সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা 2(1) ও 2(3); সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের 2(1) ধারার “সর্বোচ্চ সুদ হার বিধি”)
- ঋণের আসলের সঙ্গে সুদ যুক্ত হয় এমন চক্রবৃদ্ধি সুদ সম্পর্কিত কোন চুক্তির কারণে জমা হওয়া সুদ বার্ষিক বিশ শতাংশ (20%) এর সীমা অতিক্রম করে গেলে, ওই বাড়তিটুকু অকার্যকর বলে গণ্য হবে এবং এর কোন প্রভাব পড়বে না। (সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা 2(1) ও 2(5); সুদ নিয়ন্ত্রণ আইনের 2(1) ধারার “সর্বোচ্চ সুদ হার বিধি”)
পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ(গুলো)
পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ(গুলো) সম্পর্কিত চুক্তি
- চুক্তিতে বছর(গুলো), মাস(গুলো) ও তারিখ(গুলো) উল্লেখ করে পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ(গুলো) সুস্পষ্টভাবে বর্ণনার জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।
পরিশোধের সুনির্দিষ্ট তারিখ(গুলো)র ব্যাপারে যদি কোন ঐক্যমত্য না থাকে, সে ক্ষেত্রে
- পরিশোধের তারিখ(গুলো)-এর ব্যাপারে যদি কোন ঐক্যমত্য না থাকে তাহলে আপানি চুক্তিতে কোন সুনির্দিষ্ট তারিখের কথা উল্লেখ করতে পারবেন না। পাওনাদার ধার পরিশোধের তাগাদা দেয়ার পর যদি যৌক্তিক সময়সীমা পার হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই পরিশোধের সময় হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
শর্ত
“শর্ত”-এর সংজ্ঞা
- “শর্ত” মানে হলো কোন একটি পক্ষের দ্বারা নির্ধারিত একটি অতিরিক্ত ধারা, যিনি ওই ধারা বহাল বা বাতিলের উদ্দেশ্যে কোন বিধান কার্যকরের জন্য কার্য সম্পাদন করেন; অথবা, এমন কোন সুনির্দিষ্ট ঘটনা যা ঘটতে বাধ্য তার পরিপ্রেক্ষিতে পরিশোধসংশ্লিষ্ট বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নির্ধারণ।
※ কোন “অতিরিক্ত ধারা”র মানে হলো চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত এমন কোন ধারা যা কোন আইনি বিধানের কার্যকারিতা সীমিত বা বাতিলের উদ্দেশ্যে সংযোজন করা হয়।
- যেমন, আপনি যদি 31 ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা ধার দিতে সম্মত হন, তাহলে কোন ভোক্তা অর্থঋণের জন্য তা হবে একটি ‘ফিক্সড টার্ম’ চুক্তি’।
ফিক্সড টার্ম-এর সুবিধা খর্ব
- ঋণগ্রহীতার সুবিধার্থে ‘ফিক্সড টার্ম’ উল্লেখ করা হয় বলে ধরে নেয়া হয়। (দেওয়ানি আইনের ধারা 153(1))
· ঋণগ্রহীতার সুবিধা হবে বলে ধরে নেয়ার উদ্দেশ্য হলো নির্ধারিত মেয়াদকালে তার আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রেখে ঋণগ্রহীতাকে বিলম্বে পরিশোধের সুযোগ করে দেয়া।
- তবে, নিম্নলিখিত কোন পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতার আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা যদি ঝুঁকিতে পরে, তাহলে ঋণগ্রহীতা ‘ফিক্সড টার্ম’-এর সুবিধা হারাবে।
· এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে ঋণগ্রহীতার জমানত ক্ষতিগ্রস্ত, হারানো বা বাতিল হয়ে যায়। (দেওয়ানি আইনের ধারা 388-1)
· এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে জমানত দেয়া ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা তার বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়েছেন। (দেওয়ানি আইনের ধারা 388-2)
· এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে ঋণগ্রহীতা দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন (ঋণগ্রহীতা পুনর্বাসন ও দেউলিয়া আইনের ধারা 425)
※ চুক্তিতে বিশেষ শর্ত হিসেবে ঋণগ্রহীতা ফিক্স টার্মের সুবিধা কি কি কারণে হারাবে সে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আপনি সুষ্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে পারেন।
অন্যান্য বিশেষ চুক্তিসমূহ
কন্ডিশন
- “কন্ডিশন” মানে হলো কোন একটি পক্ষের দ্বারা নির্ধারিত একটি অতিরিক্ত ধারা, যিনি ওই ধারা বহাল বা বাতিলের উদ্দেশ্যে কোন বিধান কার্যকরের জন্য কার্য সম্পাদন করেন; অথবা, এমন কোন অনিশ্চিত পরিস্থিতি যা সৃষ্টি হতে পারে বা নাও পারে তার পরিপ্রেক্ষিতে পরিশোধসংশ্লিষ্ট বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নির্ধারণ।
· কোন অনিশ্চিত কন্ডিশনের সঙ্গে একমত হওয়া আপনার উচিত হবে না, যেমন: ‘ঋণগ্রহীতা অর্থ পেয়ে থাকলে সে অবশ্যই পরিশোধ করবে’।
বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ
- ভোক্তা অর্থঋণ চুক্তিতে আবদ্ধ পক্ষগুলো পরিশোধ না করার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থের পরিমাণের ব্যাপারে সম্মত হতে পারে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 398-(1))
- এমন কোন ক্ষেত্র যেখানে বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণের অর্থের পরিমাণ অন্যায্যভাবে অতিরিক্ত, সেখানে আদালত এই ক্ষতিপূরণের অংক ন্যায্য পরিমাণে নামিয়ে আনতে পারবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 398-(2))
- বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে পক্ষগুলোর ঐক্যমত্য চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণের দাবি অথবা চুক্তি বাতিলের ওপর প্রভাব ফেলবে না। (দেওয়ানি আইনের ধারা 398-(3))
- চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতির ব্যাপারে সম্মতির বিষয়টি বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সম্মতি বলে ধরে নেয়া হবে। (দেওয়ানি আইনের ধারা 398-(4))
কর্জপত্র প্রস্তুতের জন্য টেমপ্লেট
নিম্নলিখিত উপায়ে কোন কর্জপত্র প্রস্তত করা যেতে পারে:
[কর্জপত্র প্রস্তুতের জন্য টেমপ্লেট]
ভোক্তা অর্থঋণের জন্য চুক্তি
“দাতা”: দাও-হান কিম (700101-123ㅇㅇㅇㅇ)
ঠিকানা:ㅇㅇ-হো,ㅇㅇ-দং,ㅇㅇএপিটি, ইয়ানমুজাং 7-গিল, শেয়ংডং-গু, সিউল
গ্রহীতা: মিন-কুক লী (650101-134ㅇㅇㅇㅇ)
ㅇㅇবিল্ডিং, জংনো 1-গিল, জংনো-গু, সিউল
1. গ্রহীতা বার্ষিক 10% সুদে গ্রহীতার কাছ থেকে 1 মার্চ 2009 তারিখে দাতার কাছ থেকে 10,000,000 কেআরডব্লিউ (দশ মিলিয়ন কোরিয়ান উয়ন) ঋণ গ্রহণ করিবে।
2. পরিশোধ সময়সীমার মধ্যে বা আগে গ্রহীতা যদি দাতার পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে গ্রহীতা অতিরিক্ত সময়ের জন্য বার্ষিক 30% সুদ হারে দাতাকে পরিশোধ করবে।
3. পরিশোধের সময় উপস্থিত না হলেও নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে গ্রহীতা অবিলম্বে দাতার অর্থ পরিশোধ করবেন।
ক. এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে গ্রহীতার জমানত ক্ষতিগ্রস্ত, বিলোপ বা বাতিল হয়েছে
খ. এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে গ্রহীতা তার জমানতসংশ্লিষ্ট বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়েছেন
গ. এমন কোন পরিস্থিতি যেখানে গ্রহীতা দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন
2015.3.11 মার্চ, 2015
দাতা: দায়ে-হান কিম [সিল]
গ্রহীতা: মিন-কুক লী [সিল]
※ দয়া করে খেয়াল করুন, উপরের 2 ও 3নং ধারাগুলো শুধু বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে, যেসব ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ পক্ষগুলো একমত হয়েছে। এছাড়া বাকি ধারাগুলো আবশ্যিক।