ঋণদাতার জন্য চেকলিস্ট
আপনাকে অবশ্যই ঋণগ্রহীতার পরিচয় যাচাই করতে হবে।
- আপনাকে ঋণগ্রহীতার বিস্তারিত ব্যক্তিগত বিষয় জানতে হবে (যেমন, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা, ইত্যাদি)
- ঋণগ্রহীতা যদি কাউকে যেমন, তার স্ত্রীকে তার পক্ষ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে থাকে তাহলে আপনাকে সরাসরি ঋণগ্রহীতার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে যে আসলেই তিনি অর্থ ঋণ নিতে ইচ্ছুক এবং আপনাকে অবশ্যই এজেন্টের পরিচয় এবং পাওয়ার অব এটর্নি যাচাই করে নিতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই একটি কর্জপত্র প্রস্তুত করতে হবে।
- কর্জপত্রে উল্লেখ সংক্রান্ত, আপনাকে অবশ্যই আবশ্যকীয় শর্তাবলী, যেমন: (1) মূল অংক; (2) সুদ; (3) পরিশোধের তারিখ; (4) পরিশোধের স্থান; এবং (5) বেনেফিট অব টাইম বাজেয়াপ্তকরণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধ সামর্থ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত না হলে আপনি ঋণের জন্য একটি জামানত রাখতে পারেন।
- আপনি যদি ঋণ গ্রহীতার ঋণ পরিশোধ সামর্থ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে ঋণ গ্রহীতা আপনাকে হয় যৌথ গ্যারান্টির মতো কোন ব্যক্তিগত জমানত অথবা মর্টগেজ-এর মতো স্থাবর জমানত দেবে।
প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা রক্ষার নিশ্চয়তা ও নিরাপদ রাখার জন্য কর্জপত্রটিকে নোটারিকরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
- প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা সুরক্ষা ও একে নিরাপদ রাখার জন্য আপনি কর্জপত্রের নোটারিকরণ করতে পারেন।
- ঋণচুক্তির অনুসমর্থন অথবা একেবারে শুরু থেকে দলিল আকারে ঋণচুক্তি প্রস্তুতের মাধ্যমে নোটারিকরণ করা যেতে পারে।
ঋণগ্রহীতার জন্য চেকলিস্ট
আপনাকে অবশ্যই ঋণদাতার পরিচয় যাচাই করে নিতে হবে।
- আপনাকে ঋণদাতার পরিচয় (যেমন, জাতীয় নিবন্ধন নম্বর, টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা, ইত্যাদি) সঠিকভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
- যখন কেউ আপনাকে কারো এজেন্ট, যিনি স্বামী বা স্ত্রী হতে পারেন, টাকা ঋণ দেয়ার কথা বলে তখন ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে ওই ব্যক্তি ঋণসংশ্লিষ্ট বাধ্যবাধকতা পূরণে আসলেই ইচ্ছুক কিনা এবং এজেন্টের পরিচয় ও পাওয়ার অব এটর্নিও যাচাই করে নিতে হবে।
আপনাকে যথাযথভাবে কর্জপত্র তৈরি করতে হবে।
- কর্জপত্রে উল্লেখ সংক্রান্ত, আপনাকে অবশ্যই আবশ্যকীয় শর্তাবলী, যেমন: (1) মূল অংক; (2) সুদ; (3) পরিশোধের তারিখ; (4) পরিশোধের স্থান; এবং (5) ‘বেনেফিট অব টাইম’ বাজেয়াপ্তকরণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
প্রমাণিক গ্রহণযোগ্যতা রক্ষার নিশ্চয়তা বিধান ও নিরাপদ রাখার জন্য কর্জপত্রটিকে নোটারিকরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
- ঋণচুক্তির অনুসমর্থন অথবা একেবারে শুরু থেকে দলিলাকারে ঋণচুক্তি প্রস্তুতের মাধ্যমে নোটারিকরণ করা যেতে পারে।
আপনি যদি পরিশোধ করে থাকেন তাহলে তার রশিদ যৌক্তিক একটি সময় পর্যন্ত আপনাকে নিরাপদে সংরক্ষণ করতে হবে।
- আপনি যদি আপনার ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিশোধ করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি রশিদ গ্রহণ করতে হবে (দেওয়ানি আইনের ধারা 474)।
- দ্বৈত পরিশোধ এড়াতে আপনাকে রশিদটি সীমিত সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। দাবিদার যদি কোন দাবি না করেন তাহলে এই মেয়াদ সাধারণত 10 বছর পর উত্তীর্ণ হয়ে যায়।(দেওয়ানি আইনের ধারা 162-1)
অবৈধ ঋণ সংগ্রহের ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
- কিছু ঋণ সংগ্রহকারী ঋণ সংগ্রহের জন্য আঘাত বা হুমকির মতো অবৈধ কৌশল অবলম্বন করে।.