BANGLADESH

অবসরকালীন সুবিধা ব্যবস্থা
অপরিশোধিত অবসরকালীন সুবিধার জন্য বিলম্ব সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা
অবসরকালীন সুবিধাদির বিলম্ব সুদ
- কোনো নিয়োগকর্তা যদি শ্রমিকদেরকে অবসরকালীন সুবিধাদির এককালীন অর্থের আংশিক বা সম্পূর্ণ প্রদান না করে তাহলে নিয়োগকর্তাকে নিম্নলিখিত শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে পরিশোধের তারিখ অনুসারে বিলম্ব সুদ প্রদান করতে হবে (「কর্মচারীদের অবসরকালীন সুবিধার নিশ্চয়তা বিষয়ক আইনের」 ধারা 9(1), 17(3), 20(3), 「কর্মচারীদের অবসরকালীন সুবিধার নিশ্চয়তা বিষয়ক আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির」 ধারা 11-এর উপঅনুচ্ছেদ 1, 2, 「শ্রম মানদন্ড আইনের」 ধারা 37 (1) , এবং 「শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির」 এবং ধারা 17 )।

শ্রেণিবিন্যাস 

বিস্তারিত 

অবসরকালীন সুবিধাদির বিলম্ব সুদ 

অবসর গ্রহণের তারিখের পরের দিন থেকে 14 দিনের মধ্যে যদি অর্থ প্রদান করা হয় না (বিশেষ পরিস্থিতিতে পক্ষগুলোর মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে এটি বর্ধিত করা যাবে) তাহলে পরের দিন থেকে প্রদানের তারিখ পর্যন্ত বিলম্বিত দিনের সংখ্যার জন্য প্রতি বছর 20/100 বিলম্ব সুদ দিতে হবে 

অবসরকালীন পেনশনের বিলম্ব সুদ 

▪ পাওয়া মিটিয়ে দেয়ার প্রাথমিক তারিখ হিসেবে ভাগ মিটিয়ে দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখের পরের দিনসহ যে তারিখে সুবিধাদি পরিশোধ করার জন্য গ্রাহকের অবদান গ্রহণের মত কারণ ঘটে সেই তারিখ থেকে 14তম দিন পর্যন্ত সময়কালের জন্য প্রতি বছরে 10/100 হারে বিলম্ব সুদ প্রদান করা হবে  

▪ প্রতি বছর 20/100 হারে বিলম্ব সুদ উপরের সময়কালের পর থেকে ভাগের অর্থ প্রদানের দিন অবধি প্রদান করা হয়। 

Q. যদি পক্ষগুলোর মধ্যে চুক্তির কারণে অবসরকালীন সুবিধাদি পরিশোধের তারিখ বাড়ানো হয় তাহলে কি বিলম্ব সুদ হবে?
A. বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে অবসরকালীন সুবিধাদি প্রদানের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে, সুতরাং পক্ষদ্বয় যদি মেয়ার বাড়াতে সম্মত হয় তাহলে 「শ্রম মানদন্ড আইনের」 অধীনে লঙ্ঘন এড়ানো যেতে পারে তবে কারণগুলো যদি 「শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির」 ধারা 18 -তে বর্ণিত বিলম্ব সুদ প্রয়োগের ব্যতিক্রমের কারণে কোনোটির মধ্যে না পড়ে তাহলে 「শ্রম মানদন্ড আইনে」ধারা 37-এর অধীনে বিলম্ব সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা কেবলমাত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে চুক্তি দ্বারা এড়ানো যায় না (কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের মামলার প্রশাসনিক ব্যাখ্যা, শ্রম মানদন্ড দপ্তর-3981, জুলাই 28, 2005)
বিলম্ব সুদ প্রদানের অব্যাহতির সময়কাল
- যদি কোনো নিয়োগকর্তা নিম্নোক্ত কোনো কারণে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বিলম্ব করেন তাহলে এটি প্রয়োগযোগ্য কারণের সময়কালে কার্যকর হবে না (「শ্রম মানদন্ড আইনের」 ধারা 37 (2) এবং 「শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির」 ধারা 18)।
▪ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঘটনা
▪ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত
▪ দেউলিয়া ঘোষণার সিদ্ধান্ত
▪ কর্মসংস্থান ও শ্রমমন্ত্রী যখন স্বীকৃতি প্রদান করেন যে শর্তাবলী এবং পদ্ধতি অনুসারে তিনি অপরিশোধিত মজুরি ইত্যাদি প্রদানে সক্ষম নন
▪ কোনো শ্রমিককে বকেয়া মজুরি ইত্যাদি প্রদান করার ক্ষেত্রে যখন কোনো নিয়োগকর্তার কোনো রায়, আদেশ, সামঞ্জস্য বা সিদ্ধান্ত থাকে যা নিম্নলিখিত যেকোনোটির অধীনে পড়ে
√ নিশ্চিত চূড়ান্ত রায়
√ পরিশোধ করার নিশ্চিত আদেশ
√ আদালতের নিষ্পত্তি এবং দাবির স্বীকৃতি ও গ্রহণের মত চূড়ান্ত রায়ের সমান কার্যকরিতা থাকা
√ প্রতিষ্ঠিত মীমাংসা
√ কোনো প্রতিষ্ঠিত মীমাংসা প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত
√ বাস্তবায়নের সুপারিশের বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত
▪ 「ঋণগ্রহীতা পুনর্বাসন ও দেউলিয়া আইন」, 「জাতীয় অর্থ আইন」 এবং 「স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন」-এর মত আইনগুলোর বিধিনিষেধের কারণে যখন মজুরি এবং অবসরকালীন সুবিধা প্রদান করতে তহবিল জোগাড় করা কঠিন হয়
▪ যখন বেতন বা অবসর সুবিধার সমস্ত বা অংশের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচন করা উপযুক্ত বলে মনে করা হয় যার জন্য আদালত বা শ্রম কমিশনে অর্থপ্রদান বিলম্বিত হচ্ছে
▪ উপরের মত অন্যান্য অনুরূপ কারণ থাকলে