BANGLADESH

মজুরি
মজুরি ইত্যাদি প্রদান
মজুরি ইত্যাদি প্রদানের পদ্ধতি
- মজুরির সম্পূর্ণ অর্থ মুদ্রার মাধ্যমে সরাসরি শ্রমিকদের দেয়া হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে মাসে কমপক্ষে একবার মজুরি প্রদান করা হবে (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 43 (1)এবং (2))।
- মুদ্রার মাধ্যমে পরিশোধের নীতিমালা
· মজুরির অর্থ মুদ্রার মাধ্যমে সরাসরি শ্রমিকদের দেয়া হবে: তবে, আইন এবং অধস্তন আইন অথবা সম্মিলিত চুক্তির দ্বারা অন্যথায় যদি নির্ধারিত হয় তাহলে মজুরি মুদ্রা ব্যতীত অন্য কোনও উপায়ে প্রদান করা যেতে পারে (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 43 (1)-এর অনুবিধি)।
- সরাসরি পরিশোধের নীতিমালা
· মজুরি সরাসরি শ্রমিককে পরিশোধ করতে হবে (শ্রম মানদণ্ড আইনের ধারা 43 (1)-এর প্রধান বাক্য)।
- সম্পূর্ণ পরিশোধের নীতিমালা
· মজুরির সম্পূর্ণ অর্থ মুদ্রার মাধ্যমে সরাসরি শ্রমিকদের দেয়া হবে: তবে, আইন এবং অধস্তন আইন অথবা সম্মিলিত চুক্তির দ্বারা অন্যথায় যদি নির্ধারিত হয় তাহলে মজুরি আংশিকভাবে কাটা হতে পারে (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 43 (1)-এর অনুবিধি)।
- নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরিশোধের নীতিমালা
· একটি নির্দিষ্ট দিনে মাসে কমপক্ষে একবার মজুরি প্রদান করা হবে: এই শর্তে যে এটি নিম্নলিখিতগুলোর কোনোটিতে প্রযোজ্য হবে না: (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 43 (2)-এর অনুবিধি; এবং শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির ধারা 23)।
√ সন্তোষজনক উপস্থিতির জন্য ভাতা যা এক মাসের বেশি সময়ের উপস্থিতির রেকর্ডের ভিত্তিতে প্রদেয়
√ জ্যেষ্ঠতা ভাতা যা এক (1) মাসের বেশি নির্দিষ্ট সময়ের ধারাবাহিক পরিষেবার জন্য প্রদেয়
√ এক (1) মাসের বেশি সময়ের জন্য হিসেবকৃত প্রণোদনা, দক্ষতা ভাতা বা বোনাস
√ অনিয়মিত ভিত্তিতে প্রদান করা অন্যান্য বিভিন্ন ভাতা।
- জরুরি ভিত্তিতে মজুরি পরিশোধ
· যখন কোনো শ্রমিক বা শ্রমিকের আয়ের উপর জীবিকা নির্বাহ করা কোনো ব্যক্তি নীচের যে কোনোটির ব্যয় বহন করার জন্য কোনো নিয়োগকর্তাকে মজুরি প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন তখন নিয়োগকর্তা বেতন প্রদানের দিনের পূর্বেই সম্পাদিত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট মজুরি প্রদান করবেন: (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 45; এবং শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির ধারা 25)।
√ সন্তান জন্ম দেওয়া, অসুস্থ হওয়া বা বিপর্যয় কিংবা দুর্ঘটনার কবলে পড়া
√ বিয়ে করা কিংবা মৃত্যুবরণ করা;
√ অনিবার্য কারণ বা ঘটনা হেতু এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় বাড়িতে যাওয়া ও অবস্থান করা
মজুরি পরিশোধের সুরক্ষা এবং বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধিকরণ
- মজুরি পরিশোধের সুরক্ষা
· কোনো নিয়োগকর্তা এমন কোনো চুক্তি করবেন না যেখানে শ্রম চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দন্ড বা ক্ষতিপূরণ পূর্বনির্ধারিত রয়েছে (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 20)।
· কোনো নিয়োগকর্তা অগ্রিম প্রদত্ত অন্যান্য ঋণের সাথে মজুরি পুষিয়ে নেয়ার শর্তে শ্রমিককে কাজ করাতে পারবে না। (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 21)।
· কোনো নিয়োগকর্তা বাধ্যতামূলক সঞ্চয় বা সঞ্চয় আমানতের ব্যবস্থাপনার শর্ত রয়েছে এমন কোনো চুক্তির অংশ হতে পারবেন না (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 22 (1))।
- মজুরি বাজেয়াপ্তের নিষেধাজ্ঞা
· মজুরি, পেনশন, বেতন, বোনাস, অবসরকালীন পেনশনের অর্ধেকের সমপরিমাণ বা অনুরূপ প্রকৃতির অন্যান্য মজুরির দাবির অর্থ জব্দ করা যাবে (দেওয়ানি কার্যনির্বাহী আইনের উপঅনুচ্ছেদ 4, ধারা 246 (1)-এর প্রধান বাক্য)।
· তবে, মজুরির অর্ধেকের পরিমাণ যদি প্রতি মাসে KRW 1.85 মিলিয়নের চেয়ে কম হয় তাহলে KRW 1,850,000 বাজেয়াপ্ত- মজুরির পরিমাণ (দেওয়ানি কার্যনির্বাহী আইনের উপঅনুচ্ছেদ 4, ধারা 246 (1)-এর অনুবিধি; এবং দেওয়ানি কার্যনির্বাহী আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির ধারা 3)।
মারা যাওয়া বা অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের পেমেন্টের নিষ্পত্তি
- মারা যাওয়া বা অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের পেমেন্টের নিষ্পত্তি
· কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে বা অবসর গ্রহণ করলে নিয়োগকর্তাকে অর্থ প্রদানের এমন ধরণের কারণ সংঘটিত হবার 14 দিনের মধ্যে মজুরি, ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য অর্থ বা মূল্যবান জিনিসপত্র প্রদান করবেন (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 36-এর প্রধান বাক্য)।
- বিলম্বিত মজুরি প্রদানের উপর সুদ
· যে কারণে অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে সেই কারণ সংঘটিত হবার 14 দিনের মধ্যে কোনো নিয়োগকর্তা অবসর ভাতা ব্যবস্থা অনুসারে কোনো শ্রমিককে প্রদেয় মজুরির পুরো বা আংশিক এবং থোক পরিমাণ ভাতা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে, নিয়োগকর্তা যে কারণে এই অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে সেই কারণটি সংঘটিত হবার পরবর্তী দিন থেকে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের দিন পর্যন্ত বার্ষিক 20/100 হারে সুদ প্রদান করবে (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 37 (1); এবং শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির ধারা 17)।
· তবে, পূর্ববর্তী বিধানগুলো এমন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না যেখানে একজন নিয়োগকর্তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয়, দেউলিয়া ঘোষণা ইত্যাদির ভিত্তিতে মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে বিলম্ব করেন এবং সেই সময়ে উক্ত কারণগুলো জারি ছিল (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 37 (2); এবং শ্রম মানদন্ড আইনের বলবৎকরণ ডিক্রির ধারা 18)।
মজুরির দাবির বিলোপসাধনের ভোগদখলি স্বত্ব
- মজুরির দাবির বিলোপসাধননের ভোগদখলি স্বত্ব
· 3 বছরের মধ্যে প্রয়োগ করা না হলে শ্রম মানদন্ড আইনের অধীনে মজুরির দাবি ভোগদখলি স্বত্বের মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হবে (শ্রম মানদন্ড আইনের ধারা 49)।
· মজুরির দাবিটি প্রয়োগ করা সম্ভব হওয়ার সময় থেকেই বিলোপসাধনমূলক ভোগদখলি স্বত্ব কার্যকর হবে (দেওয়ানি আইনের ধারা 166 (1))।
※ 3 বছরের মধ্যে প্রয়োগ করা না হলে অবসর ভাতার দাবি ভোগদখলি স্বত্ব দ্বারা বিলুপ্ত করা হবে (শ্রমিকদের অবসর সুবিধা আইনের নিশ্চয়তার ধারা 10)।
- মজুরির দাবির বিলোপসাধনের ভোগদখলি স্বত্বে বাধা
· নিচের যেকোনো ক্ষেত্রে মজুরির দাবির বিলোপসাধনমূলক ভোগদখলি স্বত্ব বাধাগ্রস্ত হবে (দেওয়ানি আইনের ধারা 168)।
√ দাবি: বিচারিক কার্যবিবরণী, অর্ডার অফ পেমেন্ট, স্বেচ্ছা উপস্থিতি, পেরেমটরি নোটিশ, ইত্যাদির মাধ্যমে দাবি করা
√ ক্রোক করা, অস্থায়ী ক্রোক বা আদালতের অস্থায়ী রায়
√ স্বীকারোক্তি
· ভোগদখলি স্বত্ব বাধাগ্রস্ত হলে, বাধাগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত যে সময়কাল পেরিয়ে গিয়েছে তা গণনা করা ছাড়াই যে সময় থেকে বাধাগ্রস্ত হবার কারণ চলে গেছে সেই সময় থেকে এটি নতুন করে কার্যকর হয় (দেওয়ানি আইনের ধারা 178 (1))।
· বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে যে ভোগদখলি স্বত্ব বাধাগ্রস্ত হয়েছে সেই ভোগদখলি স্বত্ব রায়টি অবশেষে বাধ্যতামূলক হয়ে গেলে তখন থেকে নতুনভাবে শুরু হয় (দেওয়ানি আইনের ধারা 178 (2))।
· মজুরির দাবির ভোগদখলি স্বত্বের বাধাগ্রস্ততা কেবলমাত্র পক্ষদ্বয় এবং তাদের উত্তরসূরিদের মধ্যে কার্যকর হবে (দেওয়ানি আইনের ধারা 169)।