বৈষম্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা 
নিয়োগকর্তারা বিদেশী কর্মীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করবেন না বা বিদেশী কর্মী বলে তাদের সাথে অন্যায়ভাবে আচরণ করবেন না (বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ আইন, ইত্যাদি অনুচ্ছেদ 22)।
আদর্শ কর্মসংস্থানের চুক্তি নির্বাহ করা
যে নিয়োগকর্তা কোনো বিদেশী কর্মীকে নিয়োগ করতে ইচ্ছুক তিনি অবশ্যই একটি আদর্শ কর্মসংস্থান চুক্তির ফরম মারফৎ বিদেশী কর্মীর সাথে কর্মসংস্থানের চুক্তিতে প্রবেশ করবেন। এটি লঙ্ঘন করলে লঙ্ঘনকারীর অবহেলার জন্য KRW 5,000,000 পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। (বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ আইন, ইত্যাদি অনুচ্ছেদ 9.(1) এবং অনুচ্ছেদ 32.(1).1)।
সরাসরি, পুরো এবং নিয়মিত বেতন দেওয়া
মাসে অন্তত একবার করে একটি নির্দিষ্ট দিনে কর্মীকে সরাসরি, পুরো বেতনের অর্থ নগদে দিয়ে দিতে হবে। এটি লঙ্ঘন করলে লঙ্ঘনকারীর 3 বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ডসহ KRW 30,000,000জরিমানাও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির প্রকাশ্য ইচ্ছা ছাড়া অভিযোগ দমন করা যেতে পারে। (শ্রম মান আইনের অনুচ্ছেদ 43 ও অনুচ্ছেদ 109)।
ন্যূনতম বেতনের আবশ্যকতা মেনে চলা
বিদেশী কর্মীদের বেতন যে স্থানীয় কর্মীদের সাথে সমান হতেই হবে এমনটা নয় এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও উৎপাদনশীলতা ভেদে ভিন্ন হতে পারে।
কোনো বিদেশী কর্মীকে অবশ্যই ন্যূনতম মজুরি আইন মেনে ঘন্টা ভিত্তিক অন্তত ন্যূনতম বেতন দিতেই হবে। কোনো কর্মীর বেতন তাদের প্রাথমিক স্তর থেকে এই বলে কমিয়ে ন্যূনতম বেতনে আনা যাবে না যে সেই বেতনটি আইনি (ন্যূনতম মজুরি আইনের অনুচ্ছেদ 6)।
※ ন্যূনতম মজুরি আইনটি ঘর সামলানোর কাজে নিয়োজিত লোকদের (কাজের লোক এবং মালিসহ সাধারণ ঘরোয়া কাজ সামলাতে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
কাজের সময় এবং ওভারটাইম, ইত্যাদি
কাজের সময় প্রতি দিন 8 ঘন্টা এবং প্রতি সপ্তাহে 40 ঘন্টার বেশি হওয়া চলবে না, এর মধ্যে ছুটি ধরা নেই (20 জন নিয়মিত কর্মীর থেকে কম থাকলে সেখানে সপ্তাহ পিছু 44 ঘন্টা)। যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সমঝোতায় আসেন, তাহলে কাজের সময় প্রতি সপ্তাহে 12 ঘন্টা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে (শ্রম মান আইনের অনুচ্ছেদ 50 ও অনুচ্ছেদ 53.(1))।
※ এটি লঙ্ঘন করলে লঙ্ঘনকারীর 2 বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড হতে পারে বা তাকে KRW 20,000,000 পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে (শ্রম মান আইনের অনুচ্ছেদ 110, উপ-অনুচ্ছেদ 1)।
শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত কাজের ক্ষেত্রে তাদের সাধারণ মজুরির পাশাপাশি নিচে উল্লেখিত হারে অর্থ প্রদান করতে হবে। (শ্রম মান আইনের অনুচ্ছেদ 56)।
- অতিরিক্ত কাজ: সাধারণ মজুরীর 50%
- ছুটির দিনে 8 ঘন্টা বা তার চেয়ে কম সময়ের কাজ: সাধারণ মজুরীর 50%
- ছুটির দিনে 8 ঘন্টার চেয়ে বেশি সময়ের কাজ: সাধারণ মজুরীর 100%
- নৈশকালীন কাজ (রাত 10ঃ00টা থেকে নিয়ে ভোর 6:00টার মধ্যে): সাধারণ মজুরীর 50%