BANGLADESH

- যেখানে লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও লিজদাতা জামানত ফেরত দেন না, লিজগ্রহীতা লিজ নেয়া বাসস্থান নিলামের জন্য আবেদন দাখিলের মাধ্যমে জামানত অথবা অনুরূপ নির্বাহ স্বত্ব ফেরত দাবি করে করা মামলার চূড়ান্ত ও সমাপ্তিমূলক আদেশের ভিত্তিতে জামানত সংগ্রহ করতে পারেন (বাসস্থান লিজ সুরক্ষা আইনের ধারা 3-2(1))।

- লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও লিজদাতা জামানত ফেরত দেননি এমন ক্ষেত্রে, লিজদাতার কাছে একটি কনটেন্ট-সার্টিফায়েড ডাক পাঠিয়ে লিজগ্রহীতা তাকে জামানত ফেরত দানের আহ্বান জানাতে পারেন, এতে লিজ চুক্তি অনুযায়ী লিজ অবসান, ইত্যাদির সময় যে পরিমাণ জামানত ফেরত দিতে হবে তা উল্লেখ থাকবে।

- জামানত ফেরতের জন্য দাবি জানিয়ে মামলা দায়েরের আগে লিজদাতার সম্পত্তি অস্থায়ীভাবে জব্দ করার জন্য অনুরোধ জানাতে লিজগ্রহীতাকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

- পরিশোধের আদেশ হলো এক ধরনের বিচার, যখন কোন পাওনাদার একটি এক্স পার্টি হিসেবে কোন সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি জানান তখন কোন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই দেনাদারকে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয় (দেওয়ানি কার্যপ্রণালী আইনের ধারা 462)

- পরিশোধ আদেশের জন্য অনুরোধ জানাতে ইচ্ছুক এমন কোন লিজগ্রহীতা নিম্নলিখিত তথ্য উল্লেখ করেন পরিশোধ আদেশের জন্য একটি আবেদনপত্র পূরণ করবেন এবং লিজদাতার ঠিকানার ওপর আইনী এক্তিয়ার রয়েছে এমন কোন আদালতে দাখিল করবেন (দেওয়ানি কার্যপ্রণালী আইনের ধারা 463, 464 ও 468):

- পরিশোধ আদেশের বিরুদ্ধে লিজদাতা যদি কোন আপত্তি না তোলেন, অথবা আপত্তি তুলে নেয়া হয়, অথবা অবৈধ আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে দেয়া রুলিং চূড়ান্ত ও সিদ্ধান্তমূলক হয়, তাহলে উল্লেখিত পরিশোধ আদেশই হবে চূড়ান্ত ও সিদ্ধান্তমূলক রায় (দেওয়ানি কার্যপ্রণালী আইনের ধারা 474)।

- দেওয়ানি মিমাংসা ব্যবস্থায়, একজন কনিসিলিয়েশন জাজ, স্ট্যান্ডিং কনিসিলিয়েশন পরিষদ সদস্য অথবা কনসিলিয়েশন পরিষদ বিবদমান পক্ষগুলোর মতামত শুনে ও বিভিন্ন পরিস্থিত বিবেচনায় নিয়ে, কোনো রায় দেয়ার পরিবর্তে, মিমাংসা প্রক্রিয়া অনুযায়ী, মিমাংসার একটি প্রস্তাব সুপারিশ করেন, এবং স্বাধীন, স্বত:প্রবৃত্তবিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পক্ষগুলির প্রচেষ্টাকে সম্মান জানিয়ে যথাযথভাবে, সুষ্ঠুভাবে, দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে বিরোধটি সমাধান করেন (দেওয়ানি বিরোধ আইনের জুডিশিয়াল কনসিলিয়েশনের ধারা 1)।

- দেওয়ানি মিমাংসার জন্য লিজগ্রহীতা একটি আবেদনপত্র পূরণ করে তা লিজদাতার ঠিকানার ওপর আইনী এক্তিয়ার রয়েছে এমন আদালতে দাখিল করবেন। মিমাংসার আবেদন মৌখিকভাবেও দাখিল করা যেতে পারে। মৌখিক আবেদনের ক্ষেত্রে, একজন আবেদনকারী আদালতের কোন গ্রেড 4, ইত্যাদি কর্মকর্তঅর উপস্থিতিতে একটি বিবৃতি দিবেন (দেওয়ানি বিরোধ আইনের জুডিশিয়াল কনসিলিয়েশনের ধারা 3 ও 5(1) ও (2)।

- মিমাংসার জন্য কোন আবেদনকারী আবেদন করার পরও মিমাংসার পথে আগ্রসর না হওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হলে, কোন মিমাংসায় পৌছাতে ব্যর্থ হলে, সমঝোতার পরিবর্তে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপিত হলে, মিমাসংসার জন্য আবেদনের সময়টিতেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছ থেকে কোন আবেদন জানানো না হলেও মামলাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনী কার্যধারা হিসেবে বিবেচিত হবে (দেওয়ানি বিরোধ আইনের জুডিশিয়াল কনসিলিয়েশনের ধারা 36(1))।

- সরল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনধিক 30 মিলিয়ন উয়ন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা অন্যকোন ফাংজিবল অথবা অন্যান্য সিকিউরিটি পরিশোধের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র দাবি নিয়ে কাজ করে এমন বিচার (ক্ষুদ্র দাবি বিচার আইনের ধারা 1 ও 2 এবং ক্ষুদ্র দাবি বিচারের প্রবিধানের ধারা 1-2)।

- কোন মামলা ক্ষুদ্র দাবি হিসেবে গণ্য করা হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে মামলাটি কখন দাখিল করা হয়েছি তার ওপর ভিত্তি করে (27 মে 1986 তারিখে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, মামলা নং 86ডা 137 ও 86ডা 138)।

- যেখানে লিজের নিরাপত্তা জামানত ফেরতদানের ব্যাপারে একজন লিজদাতা লিজগ্রহীতাকে কোন কর্জপত্র ইস্যু করেন, ওই কর্জপত্র নোটারিকরণ করে নেয়া লিজগ্রহীতার জন্য নিরাপদ হবে। নোটারিকরণ করা একটি কর্জপত্র আইনগতভাবে সর্বজনীন এবং পক্ষগুলোর মধ্যে বিরোধের আগাম প্রতিরোধের একটি উপযুক্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

- কর্জপত্র নোটারিকরণ করার জন্য লিজগ্রহীতা ও লিজদাতা একত্রে নোটারি কার্যাদি করে থাকে এমন কোন জয়েন্ট নোটারাইজেশন ও আইনী অফিস ও আইনী প্রতিষ্ঠানের মতো কোন প্রমাণীকরণ সংস্থাতে যাবেন।। যে এলাকায় কোন প্রমাণীকরণ সংস্থা নাই, তারা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরের শাখা অফিসে গিয়ে কর্জপত্র নোটারিকরণ করতে পারেন (নোটারি পাবলিক আইনের ধারা 8)।

- স্বীকৃতি ও বাধ্যতমূলক নির্বাহ গ্রহণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করা নোটারিকৃত ডকুমেন্টটি নোটারিকৃত কর্জপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে (নোটারি পাবলিক আইনের ধারা 56-2(1))।

- যেখানে কর্জপত্রে উল্লেখিত পরিশোধের তারিখ অতিক্রান্ত হওয়ার পরও লিজদাতা অর্থ ফেরত দেননি বা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি, ইত্যাদি, তাহলে লিজগ্রহীতা যেই প্রমাণীকরণ সংস্থা থেকে নোটারিকৃত ডকুমেন্ট প্রস্তুত করেছেন তাকে একটি নির্বাহ ক্লজ ইস্যুর মাধ্যমে বাধ্যতামূলক নিলামের জন্য অনুরোধ জানাতে পারেন।

- লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যখন কোন লিজদাতা জামানত ফেরত দিবেন না, তখন লিজগ্রহীতা লিজ নেয়া বাসস্থান নিলামের জন্য আবেদন দাখিলের মাধ্যমে জামানত ফেরত দাবি করে করা মামলার চূড়ান্ত ও সমাপ্তিমূলক আদেশের ভিত্তিতে জামানত সংগ্রহ করতে পারেন (বাসস্থান লিজ সুরক্ষা আইনের ধারা 3-2(1))।

- লিজগ্রহীতা লিজ নেয়া বাসস্থানের জামানত ফেতর দাবি করে লিজদাতার বা তার ঠিকানার ওপর আইনী এক্তিয়ার রয়েছে এমন কোন আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন (দেওয়ানি কার্যপ্রণালী আইনের ধারা 29)।

- কোন লিজ নেয়া বাসস্থানের জামানত ফেতর দাবি করে মামলা, জামানত 30 মিলিয়ন উয়নের চেয়ে বেশি হলেও ক্ষুদ্র দাবি আইনে বিচার দ্রুত অনুসরণের মাধ্যমে মোকাবেলা করা যেতে পারে (বাসস্থান লিজ সুরক্ষা আইনের ধারা 13 এবং ক্ষুদ্র দাবি বিচার আইনের ধারা 6, 7, 10 ও 11-2)।

- বিরোধিতা করার ক্ষমতার আবিশ্যিক শর্তাবলী পূরণ এবং লিখিত লিজ চুক্তির ওপর নির্দিষ্ট তারিখ করেছেন এমন কোন লিজগ্রহীতা, নিলাম বা সরকারি বিক্রির সময়, অন্যসব জুনিয়র অবলাইজি এবং অন্যান্য পাওনাদারের চেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে, লিজ নেয়া বাসস্থানের (তার সাইটসহ) রূপান্তরিত মূল্য থেকে জামানত ফেরত পওয়ার অধিকারী হবেন। ক্ষুদ্র জামানত পরিশোধ করেছেন এমন কোন লিজগ্রহীতা তর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকারমূলক পরিশোধ অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন (বাসস্থান লিজ সুরক্ষা আইনের ধারা 3-2 (2) এবং 8(1))।

- লিজ নেয়া বাসস্থানের রূপান্তরিত মূল্য থেকে বণ্টিত অংশ ফেরত লাভের জন্য লিজগ্রহীতা লিজ নেয়া বাসস্থানটি এসাইনিকে হস্তান্তর করবেন (বাসস্থান লিজ সুরক্ষা আইনের ধারা 3-2(3))।