প্রশাসনিক মামলার সংজ্ঞা
প্রশাসনিক মামলার সংজ্ঞা
- “প্রশাসনিক মামলা” বলতে বোঝায় সরকারি আইনের (পাবলিক ল) আইনগত সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে বিবাদ মীমাংসার জন্য যে বিচার ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর কোন বেআইনী সিদ্ধান্তের কারণে নাগরিকদের স্বার্থ এবং অধিকার ক্ষুন্ন হলে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য যে বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। এবং সরকারি আইন এবং আইনের প্রয়োগের ভিত্তিতে অধিকার সংক্রান্ত বিবাদের সঠিক মীমাংসা নিশ্চিত করা এবং সরকারি কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা বা প্রয়োগ না করা। (উৎস: সউল প্রশাসনিক আদালত) (সূত্র: ই-সিভিল কমপ্লেইন্ট সেন্টার অব দ্যা কোর্ট অব করিয়া - প্রসিডিওরস – অ্যাডমিনিস্ট্রেশন - ওভারভিউ)।
রদ করার মামলার সংজ্ঞা
রদ করার মামলার সংজ্ঞা
- “রদ করার মামলা” বলতে বোঝায় কোন প্রশাসনিক সংস্থার কোন বেআইনী সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করার জন্য মামলা (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 4 –এর উপঅনুচ্ছেদ 1)।
রদ করার মামলার বিষয়বস্তু
রদ করার মামলার বিষয়বস্তু
- কোন সিদ্ধান্ত ইত্যাদি রদ করার মামলার বিষয়বস্তু হবে।
- “সিদ্ধান্ত ইত্যাদির” অর্থ হল কোন বিশেষ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোন বিষয়ে আইন প্রয়োগের জন্য সরকারি কর্তৃত্বকে প্রয়োগ করা বা প্রয়োগ করতে অস্বীকার করা, এ জাতীয় অন্যান্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ (এখানে পরবর্তীতে “সিদ্ধান্ত” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) এবং প্রশাসনিক আপিলের বিষয়ে একটি রায় (প্রশাসনিক মামলার আইনের ধারা 2 (1)-এর উপঅনুচ্ছেদ 1)।
রদ করার মামলার পক্ষদ্বয়
বাদী
- কোন সিদ্ধান্ত, ইত্যাদির রদ চাওয়ার বিষয়ে যে ব্যক্তির আইনগত স্বার্থ রয়েছে সে রদ মামলা দায়ের করতে পারে। (প্রশাসনিক মামলার আইনের ধারা 12 পূর্ববর্তী অংশ)
- সুতরাং, বীমার বেনিফিটের সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি যিনি বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কর্তৃত্ব প্রাপ্ত কোরিয়া ওয়ার্কার্স কম্পেনসেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে, পরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বা পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে কোন রায়ের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট তিনি শিল্প ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 10-এর অধীনে একটি প্রশাসনিক মামলা দায়ের করতে পারেন।
বিবাদী
- অন্যান্য আইনে যদি অন্য কিছু বলা না হয়ে থাকে, তাহলে রদ আইনে বিবাদী পক্ষ হবেন সেই প্রশাসনিক সংস্থা যিনি সিদ্ধান্তটি প্রদান করেছেন। (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 13-এর পূর্ববর্তী অংশ)।
· উপরোল্লিখিত প্রশাসনিক সংস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিভিন্ন প্রশাসনিক অঙ্গসংস্থা, সরকারি দফতর এবং তাদের অঙ্গসংগঠন বা আইন ও অধিনস্ত প্রবিধানের অধীনে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রাপ্ত বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 2 (1)-এর উপঅনুচ্ছেদ 3)।
· সুতরাং, বীমার বেনিফিটের বা পরীক্ষণের অনুরোধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে রদ মামলার বিবাদী পক্ষ হল কোরিয়া ওয়ার্কার্স কম্পেনসেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস যিনি বীমার বেনিফিট বা পরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কর্তৃত্ব প্রাপ্ত। পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধের ওপর রায়ের বিষয়ে রদ মামলার বিবাদী পক্ষ হল শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমার পুন:পরীক্ষণ কমিটি। এই কমিটি পুনঃপরীক্ষণের বিষয়ে রায় প্রদানের জন্য কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কর্তৃত্ব প্রাপ্ত।
রদ করার মামলা দায়ের করা
লিখিত অভিযোগ দায়ের করা
- বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি রদ করার মামলা দায়ের করতে চাইলে প্রশাসনিক আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে সে তা করতে পারে (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা8 (2) এবং 9 এবং নাগরিক কার্যধারা আইনের ধারা 248)।
· যিনি রদ করার মামলা দায়ের করবেন তিনি মামলার মূল্য অনুসারে লিখিত অভিযোগের সাথে একটি ডাকটিকেট এবং কোন প্রশাসনিক আদালতের ব্যাংকে ডেলিভারি ফি প্রদান করার পর ডেলিভারি ফি’র রশিদ যুক্ত করবেন (সূত্র: ই-সিভিল কমপ্লেইন্ট সেন্টার অব দ্যা কোর্ট অব করিয়া - প্রসিডিওরস – অ্যাডমিনিস্ট্রেশন – প্রিপেয়ার কমপ্লেইন্ট)।
· সউলে সউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। কোন এলাকায় যদি কোন প্রশাসনিক আদালত না থাকে, তাহলে প্রশাসনিক আদালত প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক জেলা আদালতে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করতে হবে [আদালত বিন্যাস আইনের ধারা 3 (1) –এর উপঅনুচ্ছেদ 6 এবং আদালত বিন্যাস আইনের ধারা 40-4 এবং আদালত বিন্যাস আইনের সংযোজনীর ধারা 2 (আইন নং 4765)]।
লিখিত অভিযোগে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
- লিখিত অভিযোগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকতে হবে এবং পক্ষ বা তাদের প্রতিনিধিরা তাদের নাম এবং সিলমোহর বা স্বাক্ষর প্রদান করবেন (প্রশাসনিক মামলার আইনের ধারা 8 (2) এবং নাগরিক কার্যধারা আইনের ধারা 249 এবং 274 (1)):
· পক্ষদ্বয়ের নাম, পদবী বা ট্রেড নেম এবং স্থায়ী ঠিকানা;
· প্রতিনিধিদিরে নাম ও স্থায়ী ঠিকানা;
· মামলার উল্লেখ করা;
· আত্মপক্ষ সমর্থনের উপায়;
· অন্য পক্ষের দাবি ও তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে বিবৃতি;
· দলিলপত্রের প্রশাণ;
· প্রস্তুত করার তারিখ;
· আদালতের প্রমাণ।
মামলা দায়েরের সময়কাল
- মামলা দায়েরের সময়কাল
· সিদ্ধান্ত ইত্যাদি অবগত হওয়ার 90 দিনের মধ্যে রদ মামলা দায়ের করতে হবে ( প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 20 (1) প্রধান বাক্য)।
· সিদ্ধান্ত ইত্যাদি প্রদানের তারিখ থেকে এক বছরকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে রদ মামলা দায়ের করা যাবে না (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 20 (2) প্রধান বাক্য)।
※ যদি কোন যৌক্তিক কারণ থাকে, তাহলে এমনকি একবছর অতিক্রান্ত হবার পরও রদ মামলা দায়ের করা যাবে (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 20 (2) প্রধান বাক্য)।
প্রশাসনিক মামলা এবং পরীক্ষণ/পুনঃপরীক্ষণের সিদ্ধান্তের মধ্যে সম্পর্ক
- বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট কোন ব্যক্তি ① পরীক্ষণ বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ না জানিয়ে সরাসরি রদ মামলা দায়ের করতে পারে, ② স্বেচ্ছায় পরীক্ষণ বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানোর পর রদ মামলা দায়ের করতে পারে বা ③ স্বেচ্ছায় পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানোর এবং অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত লাভের পর সরাসরি রদ মামলা দায়ের করতে পারে (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 18 (1) এবং 26, 2002 তারিখে প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়, মামলা নং 2002Du 6811)।
রদ মামলার বিষয়ে পরীক্ষণ
শর্তাবলি পরীক্ষা করা
- দায়েরকৃত মামলাটি মামলা দায়েরের শর্তাবলি পূরণ করেছে কি না তা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষণ পরিচালনা করা হবে। যদি না করে থাকে তাহলে মামলাটিকে বেআইনি অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেয়া হবে।
- শর্তাবলি পরীক্ষণের সময় যে বিষয়গুলো দেখা হবে তা হল পক্ষদ্বয়ের যোগ্যতা, মামলা দায়েরের সময়কাল, বিচার পূর্ব প্রক্রিয়া ইত্যাদি। এগুলো হল মামলার যর্থার্থতা নির্ধারণের পূর্ব শর্ত।
যর্থার্থতা পরীক্ষা করা
- বাদীর দায়ের করা মামলার বাস্তব বিষয়বস্তু পরীক্ষণের মাধ্যমে মামলাটি গ্রহণ করা হবে না প্রত্যাখান করা হবে তা নির্ধারণের জন্য যর্থার্থতা যাচাইয়ের পরীক্ষাটি করা হয়। যা মামলার শর্তাবলি পরীক্ষণের ফলাফল স্বরূপ আইনগতভাবে আবশ্যক। যর্থার্থতা পরীক্ষণের পর মামলার বিষয়বস্তুকে যদি যৌক্তিক মনে হয় তাহলে মামলাটি গ্রহণ করা হবে এবং মামলার বিষয়বস্তুকে যদি যৌক্তিক মনে না করা হয় তাহলে তা প্রত্যাখান করা হবে।