রোগের কারণে পেশাগত দুর্ঘটনা স্বীকৃতির মান
রোগ, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যুর কারণ হবে পেশাগত কারণ।
- নিম্নোক্ত কোন কারণে শ্রমিকের কোন অসুস্থতা দেখা দিলে অথবা ওই রোগোর কারণে কোন বিকলাঙ্গতা সৃষ্টি হলে অথবা ওই রোগের কারণে মৃত্যু হলে, তা পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (1)-এর উপঅনুচ্ছেদ 2)।
· দায়িত্বপালনকালে কোন ভৌত এজেন্ট, রাসায়নিক উপাদান, ধূলা, প্যাথোজেন নাড়াচাড়া বা সংস্পর্শে আসার কারণে, শ্রমিকের শরীরের ওপর বোঝা চাপানো হয় এমন কোন কাজ, অথবা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে এমন অন্যান্য এজেন্ট দ্বারা সৃষ্ট রোগ;
· পেশাগত জখমের ফলে সৃষ্ট কোন রোগ;
· কর্মস্থলে হয়রানি, গ্রাহকদের দ্বারা মৌখিক গালিগালাজ ও অন্যান্য কারণের দ্বারা ঘটানো কর্মস্থলে মানসিক চাপের প্রতি আরোপযোগ্য রোগসমূহ;
· তাদের দায়িত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত কারণে সৃষ্ট অন্যান্য রোগ।
পেশাগত কারণে সৃষ্ট রোগ, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্য এবং দায়িত্ব পালনের মধ্যে সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক থাকতে হবে।
- পেশাগত দুর্ঘটনা স্বীকৃতির মান সম্পর্কিত উপরের বর্ণনা সত্ত্বেও, শ্রমিকের দায়িত্বপালনের সঙ্গে কোন জখম, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু’র সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক না থাকলে তা পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে না (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (1)-এর অনুবিধি)
- সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্কের সংজ্ঞা
· একটি “সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক” স্বীকার করা হবে যদি কোন সুনির্দিষ্ট পেশাগত দুর্ঘটনা কোন সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপালনের কারণে ঘটেছে বলে সাধারণ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দ্বারা প্রতীয়মান হয়।
- কারণগত সম্পর্ক প্রমাণের দায়িত্ব
· বীমা সূবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি (কোন শ্রমিক বা তাদের জীবিত)’দের ওপর কোন কারণগত সম্পর্ক প্রমাণের দায়িত্ব বর্তাবে (সুপ্রিম কোর্টের রায়, 10 নভেম্বর 2005, মামলা নং 2005 ডিইউ 8009)।
- কারণগত সম্পর্ক নির্ণয়ের মাণদণ্ড
· গড়পরতা মানুষের স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার পরিববর্তে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে দুর্ঘটনা ও শ্রমিকের দায়িত্বের মধ্যে সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক নির্ধারিত হবে (সুপ্রিম কোর্টের রায়, 31 জানুয়ারি 2008, মামলা নং 2006 ডিইউ 8204, সুপ্রিম কোর্টের রায়, 10 নভেম্বর 2005, মামলা নং 2005 ডিইউ 8009)।
- কারণগত সম্পর্ক প্রমাণের মাত্রা
· কোন কারণগত সম্পর্ক সুষ্পষ্টভাবে, চিকিৎসাগত বা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়বে না। কর্মচারী হিসেবে কোম্পানিতে যোগদানের সময় শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা, কিভাবে রোগের উৎপত্তি ঘটেছে, রোগের বিস্তারিত বিবরণ, চিকিৎসার অগ্রগতি, ইত্যাদি সার্বিকভাবে বিবেচনা করে যদি দুর্ঘটনার সঙ্গে দায়িত্বের সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় তাহলেই কারণগত সম্পর্ক স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে (সুপ্রিম কোর্টের রায়, 12 এপ্রিল 2007, মামলা নং 2006 ডিইউ 4912)।
কোন রোগ, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু শ্রমিকের ইচ্ছাকৃত, নিজের ক্ষতি করার জন্য বা অন্যান্য অপরাধমূলক কাজের কারণে সৃষ্টি হবে না।
- তাদের ইচ্ছাকৃত, নিজের ক্ষতি করার জন্য বা অন্যান্য অপরাধমূলক কাজ বা কারণে সৃষ্ট কোন রোগ, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে না (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (2)-এর মূলবাক্য)।
- তবে, তাদের কগনিটিভ ফাংশন, ইত্যাদির লক্ষণীয় মাত্রায় অবনতির কারণে কৃত কোন কাজের ফলে সৃষ্ট জখম, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু যদি নিম্নোক্ত যেকোন একটি কারণের অন্তর্ভুক্ত হয়, তা পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (2)-এর অনুবিধি এবং শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 36):
· কর্ম-সংশ্লিষ্ট কারণে সৃষ্ট মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা গ্রহণ করেছে বা করছে এমন কোন ব্যক্তি যদি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় নিজের ক্ষতি করে;
· পেশাগত দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন কোন ব্যক্তি যদি পেশাগত দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় নিজের ক্ষতি করে;
· প্রত্যক্ষ কারণের উপরে ভিত্তি করে কর্ম-সংশ্লিষ্ট কারণে মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় নিজের ক্ষতি করেছে বলে স্বীকৃত হয়েছে এমন ক্ষেত্রগুলোতে।