বিরোধ সৃষ্টি প্রতিরোধ
বিরোধ সৃষ্টি প্রতিরোধ
- ক্লায়েন্ট ও মাল পরিবহন কোম্পানির মধ্যে একত্রে একটি ছিলমোহর ও স্বাক্ষর করা চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা জরুরি এবং প্রত্যেক পক্ষ এর 1 টি করে কপি সংরক্ষণ করবেন।
- মাল পরিবহন কোম্পানির ক্ষয়ক্ষতির জন্য কোন পারফমেন্স বন্ড বা পারফর্মেন্স গ্যারান্টি বীমা করেছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নেয়া জরুরি।
- মাল পরিবহনের কাজ শুরু হওয়ার আগে ক্লায়েন্ট মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে দেবেন।
- মাল পরিবহন কাজ শুরু হওয়ার আগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত বা ভাঙ্গা জিনিস রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া জরুরি এবং ভঙ্গুর বস্তুগুলো বিশেষভাবে আলাদা করতে হবে।
- মাল পরিবহনের সময় কোন সমস্যা দেখা দিলে, তা অবিলম্বে দায়িত্বে থাকা স্টাফকে অবহিত করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
- স্টোরেজ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে স্টোরেজের জন্য আলাদা চুক্তি করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
মাল পরিবহন কোম্পানি অন্যায্যভাবে চুক্তি বাতিল করলে ক্ষতিপূরণ দাবির মানদণ্ড
অন্যায্যভাবে চুক্তি বাতিল করা হলে ক্ষতিপূরণ দাবির মানদণ্ড
- এমন যদি হয় যে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষরের পর তা বাতিলের জন্য মাল পরিবহন কোম্পানি দায়ি, অন্যরকম সিদ্ধান্ত না হলে, ক্লায়েন্ট নিম্নলিখিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। (ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তির প্রবিধানের সংযুক্ত সারণী 2 এর উপ -অনুচ্ছেদ 42)।
কেস
|
রেজুলেশন
|
যেখানে মুভিং কোম্পানি চুক্তি বাতিলের বিষয়ে ক্লায়েন্টকে পূর্ব নির্ধারিত স্থানান্তরের তারিখের দুই দিন আগে অবহিত করে
|
আমানত + আমানতের দ্বিগুণ
|
যেখানে মুভিং কোম্পানি ক্লায়েন্টকে তার চুক্তি বাতিল করার বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত তারিখের একদিন আগে অবহিত করে
|
আমানত + আমানতের চারগুণ
|
যেখানে মুভিং কোম্পানি ক্লায়েন্টকে তার চুক্তি বাতিল করার বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত মুভিং তারিখে অবহিত করে
|
আমানত + আমানতের ছয়গুণ
|
যেখানে মুভিং কোম্পানি ক্লায়েন্টকে তার বাতিল হওয়ার বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত তারিখের পরও অবহিত করতে ব্যর্থ হয়
|
আমানত + আমানতের দশগুণ বা প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ
|
- যেসব ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট তার স্বাক্ষরের পর পরিবহন চুক্তি বাতিল করার জন্য দায়ী, অন্যথায় সম্মত না হলে, তিনি নিম্নোক্ত মানদণ্ড অনুযায়ী ক্ষতির জন্য অর্থ প্রদান করবেন (ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তিরপ্রবিধানের সংযুক্ত সারণী 2 এর উপ -অনুচ্ছেদ42)।
কেস
|
রেজুলেশন
|
যেখানে ক্লায়েন্ট মুভিং কোম্পানিকে পূর্ব নির্ধারিত স্থানান্তরের তারিখের পূর্বে তার বাতিলের বিষয়ে অবহিত করে
|
আমানত
|
যেখানে ক্লায়েন্ট মুভিং কোম্পানিকে পূর্ব নির্ধারিত স্থানান্তরের তারিখে তার বাতিলের বিষয়ে অবহিত করে
|
আমানত + আমানত
|
অন্য ধরনের ক্ষতির ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ দাবির মানদণ্ড
অন্য ধরনের ক্ষতির ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ দাবির মানদণ্ড
- এমন যদি হয় যে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষরের পর ক্লায়েন্টের কোন ক্ষতি সৃষ্টির জন্য মাল পরিবহন কোম্পানি দায়ি, অন্যরকম সিদ্ধান্ত না হলে, নিম্নলিখিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে ক্লায়েন্ট ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন (ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তিরপ্রবিধানের সংযুক্ত সারণী 2 এর উপ -অনুচ্ছেদ 42)।
কেস
|
রেজুলেশন
|
যেখানে এটি হারিয়ে যায়, ধ্বংস হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়
|
মুভিং কোম্পানি সরাসরি গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেবে। যদি ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল বীমা করা হয়, তাহলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ থেকে বীমাকৃত অর্থ কেটে নেওয়া হবে।
|
যেখানে মুভিং পণ্য গ্রহণ করা পূর্ব নির্ধারিত সময় থেকে দুই ঘন্টা বা তার বেশি বিলম্বিত হয়
|
চুক্তি বাতিল + আমানত ফেরত + আমানতের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ
|
যেখানে মুভিং কোম্পানি ক্লায়েন্টের অনুরোধে প্রদত্ত অতিরিক্ত পরিষেবা ছাড়াও বেআইনি সার্ভিস ফি বা সার্ভিস ফি চায়
|
সংশোধন এবং বেআইনি চার্জ ফেরত
|
- যেখানে পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর মাল পরিবহন কোম্পানির দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতির জন্য ক্লায়েন্ট দায়ি হবেন, অন্যরকম সিদ্ধান্ত না হলে, নিম্নলিখিত মানদণ্ড অনুযায়ী ক্লায়েন্ট ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করবেন। (ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তির প্রবিধানের সংযুক্ত সারণী 2 এর উপ -অনুচ্ছেদ 42)।
কেস
|
মানদণ্ড
|
যেখানে মুভিং পণ্য গ্রহণ করা পূর্ব নির্ধারিত সময় থেকে দুই ঘণ্টারও কম দেরি হয়
|
নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বের প্রতি ঘন্টায় আমানত গুণ করে পরিমাণ গণনা করা হয় (মোট বিলম্ব করা ঘন্টা × আমানত × 1/2)
|
যেখানে মুভিং পণ্য গ্রহণ করা পূর্ব নির্ধারিত সময় থেকে দুই ঘন্টা বা তার বেশি বিলম্বিত হয়
|
চুক্তি বাতিল + আমানতের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ
|
বিরোধ নিষ্পত্তি
বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি
- কনজুমার সংগঠনগুলোর মাধ্যমে
- কোরিয়া কনজুমার এজেন্সির মাধ্যমে
- কোন আদালতের মাধ্যমে
· ক্ষুদ্র দাবি: বিরোধের অংকের পরিমাণ অল্প এমন দেওয়ানি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য, যেখানে দাবিকৃত অংকের পরিমাণ 30 মিলিয়ন, সমমূল্যের অন্যকিছু বা নির্দিষ্ট পরিমাণের শেয়ারের বেশি নয়, এর জন্য মামলা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সামারি প্রসিডিওরস এন্ড হ্যান্ডেল কেসেস।(ছোট বিচারের নিয়ম অনুচ্ছেদ 1-2)
· পরিশোধের জন্য নির্দেশ (ডিমান্ডিং প্রসিডিওর): এ ধরনের মামলায় ঋণদাতার দাবি যদি যৌক্তিক বলে মনে হয় তাহলে ঋণগ্রহীতাকে কোনরকম যুক্তিতর্ক ছাড়াই একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়। ঋণগ্রহীতার অনুরোধে আদালত এ ধরনের মামলার কার্যক্রম শুরু করে, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, সমমূল্যের অন্যকিছু বা নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ারের ব্যাপারে ঋণগ্রহীতা এ ধরনের মামলা দায়ের করে। (দেওয়ানি কার্যবিধি আইন」 ধারা (462)
· দেওয়ানি সমঝোতা: আদালতের কোন বিচারক বা সমঝোতা কমিটি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনেএবংসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়েদেখারপরসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যেএকটিচুক্তির ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেন। দেওয়ানি বিষয়গুলো নিয়েবিরোধের নিস্পত্তি এইব্যবস্থার উদ্দেশ্য। (নাগরিক মধ্যস্থতা আইন ধারা 1)
· দেওয়ানি মামলা: যেখানে উপরে উল্লেখিত কোন পদ্ধতিতেই ক্ষতি উপশম করা যায় না, তখন চূড়ান্ত প্রচেষ্টা হিসেবে যে কোন পক্ষ দেওয়ানি মামলা দায়ের করতে পারে।